শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

দুলালী সুন্দরীকে দেখতে গেলেন মন্ত্রী গাজী

প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারি ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : প্রথমবারের মতো নারায়ণগঞ্জে এসেছে দুলালী সুন্দরী। দেখতে ভারী সুন্দর। গায়ের রং চোখ ধাঁধাঁনো বেগুনী। আর এই দুলালী সুন্দরীকে দেখতে গেলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। এসময় দুলালী সুন্দরীকে ঘিরে জড়ো হন স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনরা।


মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই দুলালী সুন্দরী কোনো ব্যক্তি নয়। এটা বোরো জাতের একটি ধানের নাম। রূপগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে মুড়াপাড়া ইউনিয়নের নগর এলাকায় কৃষক কুদ্দুস দুলালী সুন্দরী নামের এই বোরো ধানের আবাদ করছেন। কৃষক কুদ্দুস আলীর মতে, দুলারী সুন্দরী আবাদে খরচও অন্যান্য ধানের চেয়ে তুলানামূলকভাবে কম। খেতেও অত্যন্ত সুস্বাদু।

 

এ জাতের ধান নারায়ণগঞ্জের অন্য কোনো উপজেলায় নাই। সুদূর গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা থেকে এই জাতের ধানের বীজ রূপগঞ্জে নিয়ে এসেছেন উপজেলা কৃষি অফিসার তাজুল ইসলাম। তার কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে আবাদ করেছেন কৃষক কুদ্দুস আলী।


নতুন এ জাতের ধান চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে বৃহস্পতিবার দুপুরে রূপগঞ্জে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক ধানের বীজ ও আবাদের অবস্থা দেখতে যান। এই বীজ নিয়ে তিনি কৃষকদের সাথে কথাও বলেছেন।
কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি হচ্ছে কৃষকসমাজ।

 

ধান চাষ না হলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে। আপনাদের সুখে দুঃখে আমি গাজী সবসময় আছি। আপনারা ধান চাষ করুন। কৃষকদের সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা কোনো সমস্যায় পড়লে আমাকে জানাবেন। আমি আপনাদের সহযোগিতা করব। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার আপনাদের পাশে আছে।


তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে কৃষি খাতে বিপ্লব ঘটেছে। নতুন নতুন জাতের ধান আবিস্কার হচ্ছে। এতে করে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।


মন্ত্রী গাজী সাথে এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার তাজুল ইসলাম, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আলমাছ, দৈনিক সংবাদচর্চার সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মুন্না খাঁন ও কৃষক কুদ্দুসসহ প্রায় অর্ধশত চাষী ও শতাধিক গ্রামীবাসী।

 

দুলালী সুন্দরী জাতের ধান চাষের সুফল তুলে ধরে রূপগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার তাজুল ইসলাম বলেন, কম পানিতেও দুলালী সুন্দরী চাষ ভালো হয়। মাত্র ১শ’ ৪০ দিনে ফসল উৎপাদন হয়। বিঘা প্রতি  ১৫ থেকে ২০ মণ ধান উৎপাদন হয়। এই ধান এনটি অক্সিজেন সমৃদ্ধ। চাউল দেখতে বেগুনী রং এর মতো। খেতেও অত্যন্ত সুস্বাদু। এই রংয়ের ধান আর কোথাও নেই।
 

এই বিভাগের আরো খবর