করোনার ঝুঁকি
থেমে নেই র্যাব-পুলিশ চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের সেবা
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২০
করোনাভাইরাসের এপিসেন্টার নারায়ণগঞ্জে একে পর এক আক্রান্ত হচ্ছে র্যাব-পুলিশ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু তাতেও থেমে নেই তাদের কার্যক্রম। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সাধারণ মানুষের সেবায় নীরবে নিভৃতে কাজ করে চলেছেন তারা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকেই নারায়ণগঞ্জ বাংলাদেশের করোনাভাইরাসের হটস্পট হিসেবে শনাক্ত হয় ।
মাত্র এক মাসে নারায়ণগঞ্জ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সহস্রাধিক ও মৃত্যু অর্ধশতাধিক অতিক্রম করে। কিন্তু তাতেও দমে যায় নি নারায়ণগঞ্জের এ করোনা যোদ্ধারা।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৭৫ জন। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশের ৮৭ জন সদস্য, র্যাবের ৫৫ জন, ম্যাজিস্ট্রেট ৫ জন এবং সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের ১৫ জন চিকিৎসকসহ ৯০ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনায় পুলিশ, চিকিৎসক,স্বাস্থ্যকর্মী কারো মৃত্যু না হলেও প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের একজন চিকিৎসক। এ নিয়ে ওই হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট চিকিৎসক,নার্সসহ ৪৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ চিকিৎসক জানান, শুরুর দিকে কোনো প্রকার পিপিই, সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়াই চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যেতে হয় আমাদের। আমাদের মধ্যে অনেকেই আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তখনও আমরাদের সুরক্ষার জন্য নামমাত্র সুরক্ষা সরঞ্জাম মাস্ক, গ্লাভস আসে। এগুলো নিয়েই চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাই। কিছুই করার ছিলো না আমাদের। চিকিৎসা সেবাই আমাদের ধর্ম। আমরা যদি চিকিৎসা না দেই তাহলে রোগীগুলো যাবে কোথায়।
আরেক চিকিৎসক জানান, রোগীরা তথ্য গোপন করছে এর সংখ্যা একেবারে কম, তবে যে রোগীর করোনা উপসর্গ নেই অন্যান্য সমস্য নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যায়। আসলে সে জানে না যে সে নিজেই করোনায় আক্রান্ত । এ ক্ষেত্রে রোগীকে কিভাবে দায়ী করবো।
অন্যদিকে বিকেল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মে) জেলা পুলিশ কর্তৃক এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের তথ্য সূত্রে জানা যায়, এদের মধ্যে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে (সিপিএইচ) ৫ জন ও ইমপালস হাসপাতালে ৩ জন চিকিৎসাধীন। বাকিরা জেলা পুলিশ লাইনস ও বাড়িতে বিশেষ ব্যবস্থায় আইসোলেশনে রয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল ইসলাম জানান, আসলে দায়িত্ব পালনের জন্য তাদের বিভিন্নস্থানে যেতে হয়। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাদের দায়িত্বে পালনে বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে আসতে হয়। ধারণা করা হচ্ছে তারা সেখান থেকেই আক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৮৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সকলেই সুস্থ আছেন।
- এসপি হারুনকে সরানোর নেপথ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ
- নারায়ণগঞ্জের লজ্জা ঢাকলেন শামীম ওসমান
- সমাবেশ করার অনুমতি চায়নি শামীম ওসমান
- শামীম ওসমানের শঙ্কা ছিলো ভিকিকে ক্রসফায়ার দেয়া হতে পারে
- ডা.শাহনেওয়াজ, তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, জামাতা করোনায় আক্রান্ত
- কাকে ভয় দেখালেন শামীম ওসমান
- ৫ ইউনিয়নকে নাসিকে যুক্ত করা হচ্ছে : মেয়র আইভী
- জাপা নেতা পিজা শামীমকে মারধর করলেন সেলিম ওসমান (অডিওসহ)
- যুগান্তরের প্রার্থী তালিকা ভিত্তিহীন : গণপূর্তমন্ত্রী
- মে মাসে না’গঞ্জের পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ !
- ছাত্রজীবনের সেই তিনজনেই এখন এমপি, ডিসি, এসপি (ভিডিও)
- ‘গাইড বই’ চালাতে স্কুলে স্কুলে ঘুষ!
- পুরোনো রূপে ফিরছে নারায়ণগঞ্জ
- কেন্দ্রে যাচ্ছেন আইভী
- করোনায় আক্রান্ত দুই সহোদর থাকেন না’গঞ্জ, বাড়ি মুন্সিগঞ্জ