শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

খালেদা জিয়ার কাঁধে বন্দুক রেখে একটি পক্ষ খেলতে চাইবে: শামীম ওসমান

প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০১৮  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : খালেদা জিয়ার দূর্বল কাঁধে বন্দুক রেখে আগামী নির্বাচনে একটি পক্ষ খেলতে চাইবে। ওই খেলায় খালেদা জিয়া নায়িকা হবেনা। বাংলার জনগন ওই খেলা খেলতেও দেবে না। আগামী নির্বাচন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ন। তৃণমূল দলের মূল শক্তি। 

আর এই তৃণমূল বুঝে না কিভাবে অসৎ ভাবে বিল্ডিং করতে হবে। তারা বুঝে না কিভাবে অন্যায়ভাবে পয়সা কামিয়ে টাকার কুমির হতে হয়। তারা একটাই বুঝে তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আর ঐ তৃণমূলকেই আমার দরকার। কারণ তৃণমূল কখনো বেঈমানী করে না।

আগামী নির্বাচনের আগে অনেক নোংড়া খেলা হবে। ওই খেলা আমার তৃণমূল নেতা কর্মীরাই প্রতিহত করবে। অতীতেও তৃণমূল এর প্রমান দিয়েছে। 

রোববার বিকেলে উত্তর নরসিংপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব একেএম শামীম ওসমান এসব কথা বলেন। 

কাশিপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল,ফতুল্লা থানা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব এম সাইফউল্লাহ বাদল,সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব এম শওকত আলী,মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহ নিজাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শামীম ওসমান  বক্তব্যে আরো বলেন, ১/১১ এর পর দেখেছি,যারা বড় বড় কথা বলেছেন তারাও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছিলেন। চাপে হউক আর লোভে হউক। কিন্তু তৃণমূল আগে যেমন ছিল তেমনই আছে। আ’লীগের সাথে শেখ হাসিনার সাথে তৃণমূল কখনো বেঈমানী করেনি।

দ্ব্যার্থহীন কন্ঠে বলতে চাই, আমি ফতুল্লাবাসীর কাছে অনেক ঋণী। আমি ১/১১ এর সময় বিদেশ থেকে এসে ওসমানী স্টেডিয়ামে জনসভায় বক্তব্য শেষে কবরস্থান জিয়ারত করতে গিয়েছিলাম। জেয়ারত শেষে আমি যখন গাড়িতে উঠছিলাম তখন একটি ফোন আসলো। আমাকে আর্মি ও বিডিআর গ্রেফতার করবে বলে জানানো হল।

 আমি আমার চাষাঢ়ার বাসায় ফিরে গিয়ে আমার নেতাকর্মীদের ফোন করেছিলাম। মুহুর্তেই ফতুল্লার হাজার হাজার নেতাকর্মী আমার বাড়ির সামনে গিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাড়িয়ে ছিল। 

সেদিন ফতুল্লার নেতাকর্মীরা চ্যালেঞ্চ করে বলেছিল, যদি শামীম ওসমানকে কেউ গ্রেফতার করতে চায়,তাহলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে যেতে হবে। আমি সেদিনের কথা ভুলিনি। তাই ফতুল্লার নেতাকর্মীদের আমি বেশি ভালবাসি। যখন দেশের বাইরেছিলাম,তখন মোবাইলের মাধ্যমে বক্তব্য শুনিয়ে জনগনের সাথে আমাকে সম্পৃক্ত রেখেছে এই ফতুল্লাবাসী।

তিনি আরো বলেন, গতবার যখন এমপি হয়েছিলাম সে সময় ২৬’শ কোটি টাকার কাজ করেছিলাম। এবার চেয়েছিলাম ২৬’শ কোটি টাকার কিছু বেশি কাজ করবো। কিন্তু হিসেবে করে দেখি এবার ৭ হাজার ১’শ কোটি টাকার কাজ আমি করেছি। 

আগামীতে উন্নয়নের ধারাকে বেগবান রাখতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনা ছাড়া বিকল্প নেই।  নির্বাচনের কেন্দ্র কমিটিতে যাদের নাম দেয়া আছে তাদের সিএস, এসএ ও আরএস দেখা হবে। যে সমস্ত কেন্দ্র কমিটি হাতে এসেছে তারা কেন্দ্রের দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন। 

আর আ’লীগের উন্নয়নের কথা জনগনের দোর গোড়ায় পৌছে দেবেন।  সাংসদ শামীম ওসমানের বক্তব্যের পূর্বে কাশিপুর ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড কেন্দ্র কমিটি থানা আ’লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদল ও কাশিপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো: জুয়েল হোসেন,জেলা পরিষদের সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন,জেলা যুবলীগ নেতা মাইনুল হোসেন মানু, কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও  প্যানেল চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী,সাধারন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) এমএ সাত্তার,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানী,ফতুল্লা থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ মান্নান, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শামীম আহম্মেদ,কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শামীম আহম্মেদ প্রমুখ। এছাড়াও বিভিন্ন ওয়ার্ডের যুবলীগ,ছাত্রলীগ ও অঙ্গদল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
 

এই বিভাগের আরো খবর