খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে হ-য-ব-র-ল পার্কিং
প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের গোটা এলাকা পরিণত হয়েছে যানবাহনের অবৈধ পার্কিং স্ট্যান্ডে। হাসপাতালে যেকেউ নিজেদের ইচ্ছামাফিক গাড়ি পার্ক করে রাখছে। হাসপাতালটি একটি পার্কিং স্ট্যান্ডে পরিণত হয়েছে।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই দেখা যায় হাসপাতালের হকাররা রকমারি পণ্য নিয়ে বসেছে। হাসপাতালের চলাচলের রাস্তাটি একাধিক রিকশা দাড়িয়ে আছে। হাসপাতালে রোগী নামিয়ে এখানেই রিকশা অপেক্ষা করছে।
হাসপাতালের বহিঃবিভাগের বিপরীত দিকে একাধিক যানবাহনের স্ট্যান্ড। ঔষধ কোম্পনির রিপ্রেজেন্টিভদের ১৫-২০ টা মোটর সাইকেল, হাসপাতালের মসজিদের পাশে সিএনজি ও অটোরিকশা ও পার্কিং করে রাখা হয়েছে। হাসপাতালে রোগীদের হাঁটার পথ দখল করে সিরিয়ালে বিভিন্ন খাবার নিয়ে বসে ফেরিওয়ালারা।
খেলনা, জামা-কাপড়, ডালসহ রকমারি পণ্যের দোকান। এছাড়া ফুচকা ও চটপটি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিক্রি হচ্ছে তৈরী লেবু ও ফলের শরবত। হ-য-ব-র-ল অবস্থা তৈরি হলেও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনার কোন উদ্যেগ নেই।
হাসপাতালের বাহিরের মানুষ যানবাহন পার্ক করে শুরু করে তাদের আড্ডাবাজি। হাসপাতাল হলেও হৈচৈ এ বাজারের পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এসবে হাসপাতালের রোগীরা হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিয়ে মান নিয়ে প্রশ্ন্ উঠেছে।
হাসপাতালের গাইনি ডাক্তার দেখাতে এসেছেন পাগলার বাসিন্দা রুমানা আক্তার। তার শ্বাশুড়ীকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তিনি বলেন, খানপুর হাসপাতালরে হাসপাতাল বলবে না, দেখে পার্ক মনে হয়। আশেপাশে খাবার বিক্রি চলছে, মানুষ যেখানে-সেখানে আড্ডা দিচ্ছে।
হাসপাতালে যেকোন হঠাৎ গাড়ি নিয়ে ঢুকে পরে। সময় কাটায়। হাসপাতালে চুরি ছিনতাই হওয়ার ও ঝুঁকি আছে। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরানো উচিত।
নিতাইগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ব্যাংক কর্মচারী রহমত উল্লাহ বলেন, হাসপাতালে গাড়ি পার্ক করে রাখার কোন যুক্তি দেখি না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কড়া ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আছে।
হাসপাতালের ওয়ার্ডমাস্টার আনসার আলী হাসপাতালের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু এসকল বিষয়ে তিনি কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায় নি। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি সব কিছু তত্ত্বাবধায়কের কথা অনুযায়ী কাজ করি। আমার হাতে কিছু নেই। যেকোন বিষয় জানতে হলে তত্ত্বাবধায়কের সাথে কথা বলুন।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহাঙ্গীর আলম এই বিষয়ে বলেন, রিক্সা, অটোরিক্সা, সিএনজি, নিয়ে দাড়ায় করে রাখে শুনছি। ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টিবরা মোটর সাইকেল পার্কিং করে রাখে। আমি পার্কিং স্টান্ড দেখি নাই।
আগেও যে তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে ছিল তিনি ও একাধিকবার এখানে পার্ক করতে না করেছে। কিন্তু কোন কথায় কোন লাভ হয় নাই। আর স্থানীয় মানুষ এখানে হরেকরকম পন্য বিক্রি করে। তাদেরকে বলা আর না বলা একই কথা। তাদেরকে সড়ায় দিলেও তারা চলে আসে। হাসপাতালের পক্ষে একা পুরোপুরি ব্যবস্থাপনা ঠিক করা সম্ভব না।
- এসপি হারুনকে সরানোর নেপথ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ
- নারায়ণগঞ্জের লজ্জা ঢাকলেন শামীম ওসমান
- সমাবেশ করার অনুমতি চায়নি শামীম ওসমান
- শামীম ওসমানের শঙ্কা ছিলো ভিকিকে ক্রসফায়ার দেয়া হতে পারে
- ডা.শাহনেওয়াজ, তাঁর স্ত্রী, মেয়ে, জামাতা করোনায় আক্রান্ত
- কাকে ভয় দেখালেন শামীম ওসমান
- ৫ ইউনিয়নকে নাসিকে যুক্ত করা হচ্ছে : মেয়র আইভী
- জাপা নেতা পিজা শামীমকে মারধর করলেন সেলিম ওসমান (অডিওসহ)
- যুগান্তরের প্রার্থী তালিকা ভিত্তিহীন : গণপূর্তমন্ত্রী
- মে মাসে না’গঞ্জের পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ !
- ছাত্রজীবনের সেই তিনজনেই এখন এমপি, ডিসি, এসপি (ভিডিও)
- ‘গাইড বই’ চালাতে স্কুলে স্কুলে ঘুষ!
- পুরোনো রূপে ফিরছে নারায়ণগঞ্জ
- কেন্দ্রে যাচ্ছেন আইভী
- করোনায় আক্রান্ত দুই সহোদর থাকেন না’গঞ্জ, বাড়ি মুন্সিগঞ্জ