শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

খানপুর হাসপাতালে ময়লার স্তূপ, জমাট পানিতে এডিসের লার্ভা

প্রকাশিত: ২৭ আগস্ট ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : হাসপাতালে আসছি আমার বাচ্চারে নিয়া। জ্বর-ঠান্ডায় অবস্থা ভাল না। এর মধ্যে ডেঙ্গু ভয় তো আছেই। কিন্তু হাসপাতালে ময়লা আবর্জনায় পানি জমে আছে। এটা কোন পরিবেশ হইলো? 


৫ বছরের অসুস্থ শিশু নিয়ে খানপুরের ৩০০ শয্যা হাসপাতালে এসেছেন বন্দরের আরিফুল ইসলাম। তার সাথে প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি এসব কথা বলেন।


হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রোগী বলেন, হাসপাতালের সামনে সাজগোজ করে রাখলেও হাসপাতালের পিছনে অনেক ময়লা। দুর্গন্ধে বেডে শুয়ে থাকতে রোগীদের কষ্ট হয়। হাসপাতালের মধ্যে এতো ময়লা ভাবা যায়!


সরেজমিনে ৩০০ শয্যা হাসপাতালে দেখা যায়, হাসপাতালের বহি.বিভাগের সামনে পানির জমে আছে। পানিতে শ্যাওলা জমে আছে। হাসপাতালের সামনে পরিচ্ছন্ন থাকলেও হাসপাতালের পূর্ব পাশে রোগীদের বারান্দার মুখোমুখি  ফলফলাদির খোসা, প্লাস্টিক, রক্তে ভেজা তুলা, গজ সহ হাসপাতালের সকল ধরনরে ময়লা ফেলে রাখা হয়েছে। 


ড্রেনের ঢাকনা খোলা থাকায় সেখানে যেমন দুর্গন্ধ তেমনি চলছে মশা-মাছির ভনভন। জমাট পানিতে এডিসের লার্ভা থাকার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।


হাসপাতালের সূত্রে জানা গেছে, জুলাই মাস থেকে হাসপাতালে ২৬৩ জন ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে হাসপাতালের ২১,২২,২৩ নং ওয়ার্ডে বিশেষভাবে ডেঙ্গু কর্নার করা হয়েছে। ২১ নং ওয়ার্ডে পুরুষ ডেঙ্গু রোগীদের রাখা হয়েছে। 


২২নং ওয়ার্ডে মহিলা ও ২৩ নং ওয়ার্ডে শিশু ডেঙ্গুরোগীদের ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডেঙ্গু কর্নার থাকলেও হাসপাতালের নিচে বেড তৈরী করে রাখা হয়েছে। খানপুর হাসপাতালে আগত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। হাসপাতালে প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর ভর্তি হচ্ছে। 


বেডের অভাবে মাটিতে বিছানা করে চিকিৎসা নিচ্ছেন কিছু রোগী। রোগ সাড়ানোর জন্য রোগী আসলেও হাসপাতালে নতুন রোগ নিয়ে ফিরতে পারেন বলে এমন আশঙ্কা করছেন অনেক রোগী ও তাদের স্বজনেররা।


এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা.মো.সামসুদ্দোহা সঞ্চয়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার কথা প্রতিদিনই হচ্ছে। 


আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বর্জ্য পরিষ্কার হচ্ছে আবার জমছে। হাসপাতাল থেকে নাসিকের ময়লা আবর্জনা নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তারা ময়লা প্রতিদিন নিয়ে যায় না। এই কারনেই ময়লা জমা হচ্ছে।


হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু জাহেরের সাথে এই বিষয়ে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
 

এই বিভাগের আরো খবর