শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কারখানা স্থানান্তরের দাবিতে বিক্ষোভ, অভিযোগ দায়ের

প্রকাশিত: ১৬ মে ২০১৯  

সোনারগাঁ (যুগের চিন্তা ২৪) : নারায়ণগঞ্জের সোঁনারগা উপজেলার নানাখি গ্রামে ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় একটি মশার কয়েল কারখানার দুর্গন্ধে ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এলাকার মানুষ।


বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে এলাকাবাসিরা কারখানাটি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য বিক্ষোভ মিছিল করে  ও উপজেলার নির্বাহি কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 


লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলার সেনারগাঁ থানার সাদিপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত নানাখী গ্রামের (কবরস্থান সংলগ্ন) বাসিন্দা। আমারা শান্তিপূর্র্ণভাবে বসবাস করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, এই গ্রামের এক প্রভাবশালী বাসিন্দা ওসমান ভূঁইয়া তার চার ছেলে নিয়ে এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দূষণকারী মশার কয়েলের কাঁচামাল ও বোর্ড তৈরির কারখানা স্থাপন করে। ফলে এক ধরনের খারাপ দুর্গন্ধ উৎপন্ন হয় এবং আশেপাশের স্থান নোংরা হয়ে পরিবেশে দূষণ করেছে। এতে এলাকায় নারী-পুরষ, শিশুসহ মারাত্মক ঝুকির শিকার হচ্ছে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিচ্ছে। তাই এখানে এলাকাবাসীর বসবাস করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।


অতিদ্রুত উক্ত কারাখানাটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করে এলাকাবাসীর শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে ব্যাবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ। 
এলাকাবাসীরা জানায়, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় মশার কারখানা ও বোর্ড তৈরী করার কারখানার বিষাক্ত দুর্গন্ধে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। কারখানার মালিক এলকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি আমরা।

 
তারা  আরও জানান, কেউ প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলা ও পুলিশ দিয়ে গ্রেফতারের ভয়-ভীতি সহ বিভিন্ন রকম হুমকি ধমকি প্রদান করে থাকে। খুব দ্রুত কারখানা দুটি অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানান তারা। 


এ ব্যাপারে কারখানার মালিক ওসমান ভূঁইয়া বলেন, নিয়ম নীতি মেনেই আমরা কারখানা নির্মাণ করেছি। এখানে কোন অনিয়ম করা হয়নি। 
সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  আব্দুর রশিদ মোল্লা বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কারখানা স্থাপন করা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। এলাকাবাসিকে সাথে নিয়ে এ সকল বিষাক্ত কারখানা অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাব। এ বিষয়ে, উর্দ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। 


সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শন করে কারখানা মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এই বিভাগের আরো খবর