শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট সক্রিয়

প্রকাশিত: ১০ জুলাই ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : ঢাকা চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বিভিন্ন গণপরিবহণ থেকে প্রতিদিন লাখ টাকারও বেশি চাঁদা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে। মহাসড়কের উপর গাড়ি থামিয়ে চাঁদা আদায় করে। 

গত বুধবার কাঁচপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় বিভিন্ন পরিবহনের শ্রমিক মালিক ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন ঢাকা চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট সড়ক দিয়ে চলাচল করা গজারিয়া, হোমনা, দাউদকান্দি, সাচার, বারুদী, মেঘনা, নরসিংদী, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ, সিলেট পরিবহণসহ প্রায় ৫শতাধিক গাড়ি থেকে ১শ টাকা করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নেন শীর্ষ পরিবহন চাঁদাবাজ হেলাল, বাচ্চু, রনি, মানিক।  

ঢাকা-সিলেট সড়কের কাঁচপুর মোড়  থেকে গ্উাছিয়া-নরসিংদী সিলেট, ভৈরব, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মনবাড়িয়া যাত্রীবাহীবাস ও  ২শতাধীক লেগুনা থেকে প্রতি দিন ১শ’ টাকা করে ২০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেন পিচ্ছি জনি, শরিফ, মাহফুজ, জিয়া-২, বাচ্চু ওরফে জামাই বাচ্চু ও জামাল। 

জানা গেছে. উত্তোলনকৃত চাঁদা চাঁদাবাজ চক্রটি এবং স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা ভাগ বাটোয়ারা করে নেন। বিনিময়ে তারা চাঁদাবাজদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেন। 

এব্যাপারে গজারীয়া পরিবহনের চালক আক্তার হোসেন ও জসিম বলেন, আমরা চাঁদাবাজদের কাছে এক প্রকার জিম্মি হয়ে পড়েছি। চাঁদার টাকা না দিলে আমাদের উপর শারীরিক ভাবে নির্যাতন চালায় তারা।

পরিবহন শ্রমিক মোঃ আলী ও শিপন বলেন, চাঁদার টাকা দিতে একটু দেরী হলেই আমাদের পিটিয়ে আহত করে চাঁদাবাজরা। গত এক মাসে ১০ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে তারা। 

দাউদকান্দি, মেঘনা ও গজারিয়া পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আলী হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, চাঁদাবাজদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছি। এ বিষয়ে কয়েকবার লিখিত অভিযোগ করলেও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, চাঁদাবাজদের সাথে আমার কোন আপোষ নেই। চিহ্নিত চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। 

এই বিভাগের আরো খবর