উভচর বাড়ি!

স্টাাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : উভচর প্রাণির কথা আমরা সবাই জানি। কিন্তু উভচর বাড়ির কথা আমরা কখনো শুনিনি। যদি এমন হয় উভচর বাড়ি এখন আপনি নিজেই নির্মাণ করতে পারবেন! এবং সেই বাড়ি নিয়ে আপনি বসবাস করতে পারবেন জলে কিংবা স্থলে।

এমনই এক বাড়ি নির্মাণ করে সে সম্পর্কে জানালেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড.মোহাম্মদ শাহ আলম খান।

 
‘বন্যার পানি আসলে পানির সঙ্গে সঙ্গে বাড়িটিও ভেসে উঠবে। আবার বন্যার পানি যখন সরে যাবে বাড়িটি তখন যথাস্থানে বসে যাবে। এটা হলো উভচর বাড়ির সুবিধা।, ঠিক এমনটাই জানালেন  তিনি।

শাহ আলম খান আরও জানান, পাইলট প্রকল্প হিসেবে দুইমাসে আট শতক জায়গার (দুই হাজার স্কয়ারফিট) উপর নির্মিত প্রথম বাড়িটি তৈরিতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। তবে পরবর্তীতে এমন বাড়ি নির্মাণ ব্যয় অনেকটা কমে যাবে বলে জানান তিনি।

‘দেশে বন্যা আক্রান্ত জনগোষ্ঠী বন্যার কারণে যে আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতি হয় তা থেকে দ্রুত প্রতিকার পাওয়ার জন্য নেদারল্যান্ডের বিভিন্ন প্রযুক্তিকে পরিচিত করানো, যার মধ্যে একটি উভচর বাড়ি প্রযুক্তি।, প্রকল্পের উদ্দেশ্য সর্ম্পকে বলছিলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহ আলম খান।

তিনি জানান, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বন্যা প্রতিরোধক উভচর বাড়ি তৈরির প্রযুক্তি পরিচিতি পেতে যাচ্ছে এ প্রকল্পটি। যেখানে গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করছে আরবানাইজিং ডেল্টাস অব দ্যা ওয়ার্ল্ড প্রকল্পের আওতায় বুয়েটের কোর বাংলাদেশ প্রজেক্ট এবং নেদারল্যান্ডসের আই এইচ ই ডেলফট। 

বন্যা প্রতিরোধক উভচর এ বাড়িটি দেশে প্রথমবারের মতো নির্মাণ করা হয়েছে। রোববার সিরাজগঞ্জ পলেটেকনিক ইন্সটিটিউটের হলরুমে বাড়িটির উদ্বোধনী সভায় এসব তথ্য জানালেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহ আলম খান।  

সিরাজগঞ্জ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মো. আব্দুল হান্নান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বেসরকারি সংস্থা সার্প’র নির্বাহী প্রধান মো. শওকত আলী। 

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ডিআরআরও) আব্দুর রহিম, কোর বাংলাদেশ প্রকল্পের প্রকল্প প্রধান দুইজন অধ্যাপক ক্রিস্টিয়ান জেভেন বার্গেন ও আই এইচ ই ডেলফট, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারি প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলামসহ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দেশী-বিদেশী শিক্ষার্থীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রানীগ্রামে নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম বন্যা প্রতিরোধক উভচর বাড়ির উদ্বোধন করা হয়। এ বাড়িটির মালিক ওই গ্রামের মো. শহিদুল ইসলাম।