শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

উন্নয়নের নামে নতুন নতুন কিছু দুর্যোগের সৃষ্টি করছি : জসিম উদ্দিন

প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো.জসিম উদ্দিন বলেছেন, উন্নয়নের নামে নতুন নতুন কিছু দুর্যোগে সৃষ্টি করছি। সে জায়গা গুলোতে আমাদের কাজ করতে হবে। আপনার আমার ব্যর্থতা ও সমস্যা অনেক বড় দুর্যোগের সৃষ্টি করে। নারায়ণগঞ্জের যে সকল দুর্যোগ রয়েছে তা যদি পরিত্রাণে আমরা জয় লাভ করতে পারি তাহলে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ একটি দুর্যোগমুক্ত উন্নত পরিবেশে পরিণত হবে।


মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ নতুন কোর্ট সংলগ্ন হিমালয় চাইনিজ এন্ড কমিউনিটি সেন্টারে যক্ষ্মা বিষয়ক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা গুলো বলেন।


জসিম উদ্দিন বলেন, সবই হয় কিন্তু আসল জিনিসটাই হয় না।কর্মসূচি হচ্ছে আপনারা আসবেন, জানবেন, তারপরে চলে যাবেন। যার যা করণীয় তা যদি না করেন তাহলে এই কর্মসূচি সফল হবে কীভাবে। এখান থেকে মেসেজ নিয়ে গিয়ে চুপ করে মুখ বুজে বসে থাকলে চলবে না। আপনাদের সবাইকে ১০০% দিয়ে কাজ করতে হবে। যক্ষ্মা প্রতিরোধে সকলকে সচেতন করতে হবে। যক্ষ্মা প্রতিরোধে প্রচার-প্রচারণার মধ্যদিয়ে যক্ষ্মা প্রতিরোধ সম্পর্কে সবাইকে আবগত করার জন্য বেশি বেশি প্রচেষ্টা করতে চালাতে হবে।

 

সিভিল সার্জন ডা.মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আহমেদের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির বিভাগীয় যক্ষ্মা বিশেষজ্ঞ ডা.আহমেদ পারভেজ জাবীন, ঢাকা মহাখালি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেরএএসপি টিবিএল লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা.শামিউল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা.আবু জাহের, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহিন্দ্র কুমার মন্ড, জেলা শিক্ষা অফিসার মো.শরিফুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো.বসির উদ্দিন, সহকারী কমিশনার মো. জাকির হোসেন, জেলা ইপিআই সুপার মো. লুৎফর রহমান, সিভিল সার্জন অফিসের পিও মো. আলতাফ হোসেন, জেলা স্বাস্থ্য অফিসার স্বর্ণ কুমার দেকনাথ।


সভাপতির বক্তব্যে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, সকলে কর্মস্থলে ফিরে গিয়ে বিভিন্ন ভাবে প্রচার-প্রচারণার মধ্যে দিয়ে যক্ষ্মা, টিভি প্রতিরোধ সম্পর্কে ছড়িয়ে দিতে হবে। যারা অসচেতন তাদের সচেতন করতে হবে। তাদের চিকিৎসার আওয়াতাধীন আনতে হবে। তা না হলে এসকল রোগ নির্মূল করা সম্ভব হবে না। বর্তমানে লাখ প্রতি ২২১ জন রোগী। বিভিন্ন রকমের প্রচার-প্রচারণা, তাদের মনোবল ও সাহস যুগিয়ে চিকিৎসার আওয়াতায় আনা যায়। তাহলে ২০৩০ সালের মধ্যে লাখ প্রতি ৯% নিয়ে আসতে পাড়বো।


তিনি আরও বলেন, আজকে এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে একটাই নারায়গঞ্জ জেলাকে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ ও মুক্ত করা সম্পর্কে অবগত করানো। সকলকে সচেতন করতে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে অবগত করে চিকিৎসাধীন এনে যক্ষ্মা মুক্ত দেশ গড়তে হবে।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন-ইসলামী ফাইন্ডেশনের প্রতিনিধি, জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা, ব্রাক ব্যাংকের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ।

এই বিভাগের আরো খবর