শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত মৃত নারীর পরিচয় মিলেছে

প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০১৯  

যুগের চিন্তা ২৪ : নগরীর জামতলা থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত মৃত নারীর পরিচয় মিলেছে। তার নাম তাসনিম আক্তার আঁখি (২৮)। তিনি মানসিক রোগী ছিলেন। নিহত আঁখি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার নিয়াজ আহমেদ টিপুর স্ত্রী বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

 

নিহত আঁখি দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের আজহার উদ্দিন মোল্লা ও মাসুদা বেগমের মেয়ে। আর টিপু দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বাংলা হিলি গ্রামের মৃত. নাজির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে। তারা দুই সন্তান নিয়ে ফতুল্লার আফাজনগর আবাসিক এলাকার ২নং গলির মজিবুর রহমানের বাড়ির ৪র্থ তলায় ভাড়ায় বসবাস করতেন।


শনিবার সকালে শহরের জামতলা হাজী ব্রাদার্স রোডের মৃত ইদ্রিস আলীর বাড়ির আঙিনা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের ছবি ফেসবুকে দেখে সন্ধ্যায় তার স্বামী টিপু স্ত্রীর লাশ সনাক্ত করেন।

আঁখির চাচাতো বোন তৌহিদা নাহার জানান, আঁখি কয়েক বছর ধরে মানসিক রোগে ভুগছে। প্রায় সময় পাগলের মতো এদিক ওদিক ছুটোছুটি করতো। 
আর সংসার করতে তার ভালো লাগে না বলে জানাতেন। যখন তখন আত্মহত্যার চেষ্টা করতেন। তাদের কাছাকাছি থাকায় আমি সবসময় খোঁজখবর রাখতাম। তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো বিরোধ ছিল না। মৃতদেহের ছবি দেখে আঁখিকে সনাক্ত করেছি।


আখির স্বামী টিপু জানান, ২০০৪ সালে পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আমাদের দুটি ছেলে সন্তান হয়েছে। বড় ছেলের নাম তাহমিদ হাসান তানিম (১১) আর ছোট ছেলে তাহসিন (৪)। 


ছোট ছেলে হওয়ার পর থেকে আঁখি মানসিক রোগে ভুগছে। পাগলের মতো এদিক সেদিক ছুটাছুটি করে এবং আত্মহত্যার চেষ্টাও করতো। দুইদিন আগে বটি দিয়ে নিজের বাম হাতে আঘাত করে কেটে ফেলে। 


এরপর খবর পেয়ে বাসায় এসে ডাক্তারের কাছে নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি। আঁখির এমন পাগলামির বিষয়টি আশপাশের প্রতিবেশীরাও জানে। তবে এ সমস্যার জন্য কোথাও চিকিৎসা করিনি।

তিনি আরও জানান, আমার বড় ছেলে স্থানীয় একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। স্কুলে যাওয়ার জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠে তানিম। এরপর তার মাকে ঘরে না পেয়ে আমাকে ঘুম থেকে ডেকে উঠায়। 


তানিম আশপাশে খুঁজে আর আমি চাষাঢ়া ও ফতুল্লার বিভিন্নস্থানে খুঁজে বাসায় এসে সন্তানদের নিয়ে আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় ফোনে যোগাযোগ করি। পরে বিকেলে প্রতিবেশীরা এসে ফেসবুকে আঁখির মৃতদেহের ছবি দেখায়।


ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ওসি শাহ মোহাম্মদ কাদের জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আঁখির মৃতদেহটি যে স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তার পাশে নির্মাণাধীন ১৪তলা রউফ টাওয়ার। 


ধারণা করছি সেই টাওয়ারের যেকোনো তলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়েছেন তিনি। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রাথমিক তদন্তের জন্য আঁখির স্বামী টিপুকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
 

এই বিভাগের আরো খবর