শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

আড়াইহাজারে বাড়ি ফিরেছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬৯ রোগী

প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

আড়াইহাজার (যুগের চিন্তা ২৪) : আড়াইহাজারে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ পর্যন্ত ৭২ ব্যক্তির শরীরিরে জীবাণু শনাক্ত করা হয়। ৩ জন রোগী এখনো চিকিৎসা নিচ্ছেন। গেলো ৩০ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত এসব রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। 


তবে এরই মধ্যে নয়ন ও অপু নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের আশঙ্কা জনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসাপালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। রোববার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 


অন্য যারা চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের মধ্যে স্থানীয় কলাগাছিয়া এলাকার ইব্রাহিমের চেলে রাজু (১৭), ফরিদপুর জেলার ভাঙা থানাধীন নুরুজ্জামান বেপারীর ছেলে আব্দুর রহমান আলী (৪৫), দুপ্তারা এলাকার খোকনের ছেলে রাব্বি (১০), গোপালদীর রামচন্দ্রী এলাকার আলাউদ্দিনের চেলে আঁখি (১৩), টেটিয়া এলাকার আবেদ আলীর ছেলে সালমান (২২), তৈনকান্দা এলাকার  মুহাম্মদ আলীর ছেলে জুনায়েত (১২), খাসেরকান্দি এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে আলআমিন (২২), চৈতনকান্দা এলাকার  জামালউদ্দিনের ছেলে আবু সাউদ (২০), কামরানীরচর এলাকার রাসেল (২৬), টেগুরিয়াপাড়া এলাকার নুরুল হক ভূঁইয়ার ছেলে দাউদ আলম (২৪), কাইমপুর এলাকার ফজলুল হকের ছেলে রানা (১৮), কাঠালিয়াপাড়া এলাকার মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে হারিস (৪২), চৌগরিয়া এলাকার ফজলুল হকের ছেলে মনির হোসেন (৪৬),লস্করদী এলাকার ওমর ফারুকের ছেলে হাফেজ তোফাজ্জল (১৯), চম্পক নগর এলাকার আজাহারের ছেলে ইলিয়াছ (২৩), রহমত উল্যাহর ছেলে রাকিব (১৫), নুজুমউদ্দিন বেপারীর ছেলে আব্দুল রহমত আলী (৩৫), গোপালদী গাজীপুরা এলাকার মোতালিবের ছেলে শাহ্পরাণ (২৫), মাধবদীথানাধীন আলগি এলাকার রিপনের ছেলে রাইজু (৯), ব্রাহ্মন্দী এলাকার মহিবুরের ছেরে অনিক (১৩), দুপ্তারা এলাকার ইনুছ আলীর ছেলে শুকুর আলী,  পাঁচগাও চরপাড়া এলাকার শুকুর আলীর ছেলে মোমেন (৩৮), দাসিরদিয়া এলাকার আব্দুল হাইয়ের ছেলে মাছুম (২১), ঝাউগড়া এলাকার খোকনের স্ত্রী ফাতেমা (৩৮), কামরানীরচর এলাকার খলিলের স্ত্রী নাছরিন (১৭), আলীসাদী এলাকার বারেকের ছেলে আউয়াল (৫০), গোপালদী পৌরসভাধীন জালাকান্দি এলাকার সিরাজ মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান (২৫), চামুরকান্দী এলাকার মৃত মহিজ উদ্দিনের ছেলে আলম মোল্লা (৩৭), পাঁচবাড়িয়া এলাকার নুরুল হকের ছেলে রিয়াদ (২৬), ব্রাহ্মন্দী এলাকার মনসুর আলীর ছেলে আনোয়ার (৪৫) ও বিশ্বনন্দী এলাকার জহিরুলের মেয়ে বৈশাখী (১৪), পাঁচগাও চরপাড়া এলাকার সিরাজুল ভূঁইয়ার ছেলে মাছুম (২৪), শালমদী এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে সজীব (১৮)। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন গোপালদী পৌরসভার দাইরাদী এলাকার ওসমান মোল্লার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। জানতে চাইলে সুমাইয়া আক্তার বলেন, হাসপাতালের টিএইচও ডা. হাবিব ইসমাইল ভূঁইয়ার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমি চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় তিনি নিজে প্রতিদিন আমার খোঁজখবর নিয়েছেন। তার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেওয়ায় আমি দ্রুত সুস্থ হয়েছি। ডা. উত্তম কুমার দাশ গুপ্ত বলেন, ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হওয়ার পর আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে তাদের  চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। তিনি আরো বলেন, এ পর্যন্ত ৭২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। ৬৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ৩ জন ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
 

এই বিভাগের আরো খবর