শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

আড়াইহাজারে গামেন্ট কর্মী রুনা হত্যা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

আড়াইহাজার (যুগের চিন্তা ২৪) : আড়াইহাজারে গার্মেন্টকর্মী রোকসানা আক্তার রুনাকে হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। 


রোববার (১৬ ফেব্রয়ারি) বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ আদালতের সিনিয়র চীফজুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুন, মিল্টন হোসেন, নুরুন নাহার ইয়াছমিন ও কাওসার খান আসামিদের পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে জবানবন্দি রেকর্ড করেন।


নিহতের স্বামী গোলজারকে মামলায় প্রধান আসামি করে তার দুই সহযোগী মামুন ও শাকিলকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি সকালে নারায়ণগঞ্জের আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি নিহতের ভাই কামলা হোসেন বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। 


অপরদিকে গোলজারকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে সোনারগাঁ থানাধীন চরকামালদী এলাকার শাহাজানের ছেলে মামুন (২০) ও স্থানীয় উৎরাপুর এলাকার রুপচাঁনের ছেলে শাকিল (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়। ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মামলার প্রধান আসামি নিহতের স্বামী গোলজারকে ঢাকার মিরপুরের বালুরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি স্থানীয় মারুয়াদি এলাকার মৃত অহিদ মিয়ার ছেলে। 


সোমবার (১৭ ফেব্রয়ারি) সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় আড়াইহাজার থানার ওসি ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, রুনার পরকীয়ার জেরে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ দেখা দেয়। এরই জেরে হত্যাকান্ডের ঘটানো হয়েছে। মৃতের মেয়ে ঘটনার প্রত্যেক্ষ স্বাক্ষী।ব্রিফিংকালে ওসি তদন্ত আমীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।


প্রসঙ্গত, ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বিনারচর এলাকার গোলজার জুলহাসের বাড়িতে স্ত্রী রোকসানা আক্তার রুনাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর রাতে হত্যার পর ধামাচাপা দিতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াবন্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে নিহতের পরিবারকে জানানো হয়েছিল। তিনি স্থানীয় মাহমুদপুর ইউনিয়নের রগুনাথপুর এলাকার মৃত কালু মিয়ার মেয়ে।

এই বিভাগের আরো খবর