মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০

আমার কর্মীর গাঁয়ে আচঁড় দিয়ে কেউ আরামে ঘুমাতে পারবেনা: শামীম ওসমান

প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪): হকার ইস্যুতে ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভীর উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের প্রসঙ্গে হুশিয়ারী দিয়েছেন শামীম ওসমান, আমার কর্মীর গাঁেয় আচঁড় দিয়ে নারায়ণগঞ্জে কেউ একঘন্টাও আরামে ঘুমাতে পারবে না। এটা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলাম। আমার বক্তব্যটা হালকা করে নিবেন না।  


শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ফতুল্লার লামাপাড়ায় নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল এমিউজম্যান্ট (নম) পার্কে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এই কথা বলেন।     


শামীম ওসমান বলেন, মামলার একজন আসামি হিসেবে প্রশাসনকে বলতে চাই তদন্ত করেন। যদি মনে হয় এমপিকে ধরতে অসুবিধা হচ্ছে, ধরা যায়না। তবে আমি এই মুহুর্ত্ব থেকে দরকার হলে সংসদ সদস্যপদ ছেড়ে দেবো। কিন্তু তদন্ত করেন। আমার কারণেই যদি এঘটনা ঘটে থাকে যদিও আমি আমার পার্টির সেক্রেটারির কথায় সেখানে গিয়েছিলাম।

 

এখানে খেলবেন না। ধৈর্য্য ধরতে ধরতে আর গালি শুনতে শুনতে খারাপ লাগে না। কারা নায়ক আর কারা খলনায়ক সেটিও বের করতে হবে। খেলা যেহুতু দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে খেলা যদি খন্দকার মোশতাকের পর্যায়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তবে নারায়ণগঞ্জের মাটি দেখা যাবেনা, শুধু মাথা দেখা যাবে। শামীম ওসমানের কর্মীর উপর আঘাত করার পর কেউ যদি মনে করে নারায়ণগঞ্জ শান্ত থাকবে তার চেয়ে বোকার রাজ্যে আর কেউ বাস করবেনা।

 

আমার কর্মীর গাঁেয় আচঁড় দিয়ে নারায়ণগঞ্জে কেউ একঘন্টাও আরামে ঘুমাতে পারবেনা। এটা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলাম। আমার বক্তব্যটা হালকা করে নিবেন না।  


প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি হকার ইস্যুতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) মেয়র ডা.সেলিনা হায়াৎ আইভীর উপর হামলার জন্য নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানকে দায়ী করা হয়েছে।

 

হামলার ঘটনার দীর্ঘ ২২ মাস ১৮ দিন পর আদালতে মামলা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফাহমিদা খাতুনের আদালতে মেয়র আইভীকে মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত আইন কর্মকর্তা জি এম এ সাত্তার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

 

অভিযোগটি আমলে নিয়ে সদর মডেল থানাকে এজহার হিসেবে গণ্য করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলায় ঘটনার দিন অস্ত্র প্রদর্শনকারী নিয়াজুল ইসলাম খান (৫২), নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম (৪৯), সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল (৪৮), মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সাজনু (৪৬), জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন (৩৫), স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জানে আলম বিপ্লব (৪২), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজন (৩২), যুবলীগ কর্মী নাসির উদ্দিন ওরফে টুন্ডা নাসির (৫২), যুবলীগ নেতা চঞ্চল মাহমুদসহ (৫২) ৯ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত প্রায় ৯০০ থেকে ১০০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।


ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সেক্রেটারি আবু হাসনাত শহীদ মো.বাদল, সহসভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি খোকন সাহান, সহসভাপতি বাবু চন্দন শীল, যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে পূর্বের কমিটির সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল ও সেক্রেটারি এম শওকত আলীর নামই সভাপতি ও সেক্রেটারি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।  
 

এই বিভাগের আরো খবর