আপনারা ঘরে থাকেন, পৌঁছানোর দায়িত্ব আমার : নাহিদা বারিক

ফতুল্লা (যুগের চিন্তা ২৪) : সদর উপজেলার ইউএনও নাহিদা বারিক বলেন, আপনাদের একাধিক বার শতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল আপনারা যার যার ঘরে থাকবেন। যদি কোনো প্রকার ত্রাণের প্রয়োজন হয় প্রত্যেকটা ইউনিয়নে আমরা সে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছি। আপনি আপনার ঘরে থাকেন পৌঁছানোর দায়িত্ব আমার। 

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল)  সকালে কিছু অসাধু লোকের উস্কানিতে লোকজন একত্রিত হয়ে নাঞ্জঃ সদর উপজেলার সামনে ত্রাণের দাবীতে বিক্ষোভ করা লোকজনের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, একটি বরাদ্দ আসার সাথে সাথেই তখন যদি রাত ১১টা ১২ টা বাজে তার পরেও আমরা সেটি চিঠি করে পৌঁছে দেয়। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং ওয়ার্ডে যারা  মেম্বার রয়েছে তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আপনাদের সেটি পৌঁছে দিচ্ছে। এর পরেও আপনারা কারো কারো উসকানিতে বের হওয়ার চেষ্টা করছেন।

এই মুহূর্তে কারো উস্কানিতে বের হয়ে নিজে বিপদে পরবেন না। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে কেউ নজরের বাহিরে না। কেন আপনারা একত্রিত হলেন?  কার ডাকে একত্রিত হলেন? আপনাদের যে বার বার বলছি ঘরে থাকেন আমরা পৌঁছে দিব, কেন আস্থা রাখতে পারছেন না কেন বের হলেন? 

আপনারা যার যার ঘরে যান সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার যাবে। তালিকা থেকে যদি একজনও বাদ পড়ে থাকেন তিনি বলেন। কিন্তু বেশিরভাগ পরিমান তালিকা এসেছে। তাদের কে নির্দেশনা দেওয়া আছে কোনো ভোটার আইডি কার্ড না সে যেই এলাকারি হক নাঞ্জেঃ আছে সে আমার লোক এবং প্রত্যাকটা অসহায় মানুষ ত্রাণ পাবে। তার পরেও আপনারা কারো কারো উস্কানিতে একসাথে জড়ো হচ্ছেন। 

উস্কানীদাতাদের উদ্দেশ্যে ইউএনও বলেন, এই মুহূর্তে কেউ কেউ নেতা সাজার চেষ্টা করছেন। কেন আপনার নামের তালিকা দিচ্ছেন না ফোন নাম্বার দিচ্ছেন না?  কেন এই সমস্যা?  আমি তো ধরেই নিতে পারি আপনি পেয়েছেন। এখন আপনারা ঘরে যান আর আপনাদের যে জড়ো করেছে আমরা তাকেউ দেখছি। ঘরে যান মেম্বাররা আবার যাবে আপনাদের কাছে যদি কেউ বাদ পড়েও সে জানালে সাথে সাথে অন্তর্ভুক্ত হবেন। 

এই মুহূর্তে বেঁচে থাকার মূল কারণ হচ্ছে ঘরে থাকা। যদি কোনো প্রয়োজন হয় আমরা ঔষধ পযন্ত পৌঁছে দিচ্ছি। অহেতুক কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করবেন না। আপনাদের মত একজন দুজন অসচেতন লোকের জন্য দেশ আজ ঝুঁকির মুখে পড়েছে।