শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

হাসপাতালে গেলেন পেটব্যথা নিয়ে, ফিরলেন হাত-পা খুইয়ে

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হাসপাতালে তিনি গিয়েছিলেন পেটব্যথার চিকিৎসার জন্য। কিন্তু যখন সেখান থেকে ফিরলেন তখন তার দুই পা, এক হাত এবং আরেক হাতের আঙ্গুল নেই। এমনটা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের বাসিন্দা কেভিন ব্রিনের সঙ্গে।মাঝে মাঝে পেটে ব্যথা হলেও খুব একটা পাত্তা দিতেন না কেভিন। একদিন ব্যথা বেড়ে যাওয়ায় কেভিনকে নিয়ে তার স্ত্রী গেলেন চিকিৎসকের কছে। কেভিনকে পরীক্ষা করে ব্যথানাশক ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেন ওই চিকিৎসক। কিন্তু সেই ওষুধেও কাজ হলো না। উল্টে পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যায়। প্রচণ্ড পেট ব্যথার কারণে কেভিনের হাঁটাচলা প্রায় বন্ধই হয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নানা রকম পরীক্ষা করার পর চিকিৎকরা রীতিমতো চমকে যান।তারা জানান, কেভিনের গলায় একটা ঘায়ের মতো হয়েছিল। অনেকটা ফ্যারিঞ্জাইটিসের মতো। চিকিৎবিজ্ঞানের পরিভাষায় একে ‘স্ট্রেপ থ্রোট’ বলা হয়। সেই স্ট্রেপ থ্রোটের ব্যাক্টেরিয়া কেভিনের সারা শরীরে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে। তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হতে শুরু করে। চিকিৎকরা দেখতে পান, কেভিনের পেটের ডান দিকে উঁচু মত কিছু একটা রয়েছে। অস্ত্রোপচার করার পর দেখা গেল, তার পেটের ভিতরে প্রায় দেড় লিটার পুঁজ জমে ছিল। প্রথমে তারা ভেবেছিলেন পেটের ভিতরের কোনো অঙ্গ হয়তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এমনটা হয়েছে। পরে তারা আবিষ্কার করেন, কেভিনের এক সন্তানের স্ট্রেপ থ্রোট হয়েছিল। কোনোভাবে তার সংস্পর্শে এসে যায় কেভিন। সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। স্ট্রেপ থ্রোটের ব্যাকটিরিয়া কেভিনের গলা থেকে ধীরে ধীরে পেটে চলে যায়। আর সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে বিকল করে দিতে শুরু করে। দ্রুত অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেভিনকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা হয়। তবে এর জন্য তার দুই পা, বাম হাত এবং ডান হাতের আঙুল কেটে বাদ দিতে হয়।
এই বিভাগের আরো খবর