শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

সিপেক ভারতের সার্বভৌমত্বের জন্য চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপেক) ভারতের সার্বভৌমত্বের জন্য জন্য চ্যালেঞ্জ।ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ সতর্কতা উচ্চারণ করেছে। বুধবার প্রতিবেদনটি পার্লামেন্টে জমা দেওয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।পাকিস্তান শাসিত আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর দিয়ে যাওয়া সিপেক নিয়ে দুই দেশই খুবই আশাবাদী। তবে অমীমাংসিত ভূমির ওপর দিয়ে ইকোনমিক করিডোর গড়ে তোলায় শুরু থেকে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে ভারত।সিপেকের পুরো ব্যয় বহন করছে চীন। এ খাতে ব্যয় হচ্ছে ৪৬ বিলিয়ন ডলার। পাকিস্তানের সঙ্গে ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ নীতিতে সিপেক হচ্ছে। সিপেকের ফলে চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্য সম্প্রসারণ হবে এবং দুই দেশের অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।চীনের মুসলিম অধ্যুষিত প্রদেশ জিনজিয়াং ও পাকিস্তানের গভীর সমুদ্র বন্দর গোয়াদার পর্যন্ত বিস্তৃত সিপেক পাকিস্তান শাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের গিলগিট-বালতিস্তান ওপর দিয়ে গেছে। কিন্তু এ অঞ্চলকে ভারত তাদের সার্বভৌম অঞ্চল মনে করে।গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে চীনের হাংচৌয়ে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সিপেক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। জিনপিংয়ের উদ্দেশে মোদি বলেন, কৌশলগত স্বার্থে দুই দেশকে আরো আন্তরিক হতে হবে।চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির আধুনিকায়নের বিষয়টিও ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এ ছাড়া দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আগ্রাসী কার্যক্রম ও সামরিকায়নের বিষয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে।
এই বিভাগের আরো খবর