শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

৪৭ তলা থেকে পড়েও বেঁচে যাওয়ার গল্প

প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ৯ মার্চ ২০১৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভবনের তিনতলা থেকে নিচে পড়া লোকদের মধ্যে মাত্র অর্ধেক বেঁচে থাকেন। ১০ তলা থেকে পড়া লোকদের মধ্যে সাধারণত কেউ বাঁচেন না। কিন্তু এটি এমন এক ব্যক্তির গল্প, যিনি নিউ ইয়র্কের একটি আকাশচুম্বি ভবনের ৪৭ তলা পড়েও বেঁচে আছেন।সৌভাগ্যবান এই ব্যক্তি হলেন অ্যালসিডিস মরিনো। ব্যতিক্রমী পেশার মানুষ- জানালা পরিষ্কারকর্মী। আকাশচুম্বি ভবনের জানালা পরিষ্কার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন তিনি।মরিনো বলেন, ‘জানালাগুলো পরিষ্কার দেখতে আমি সত্যিই পছন্দ করি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা চূড়া থেকে কাজ শুরু করি এবং নিচে আসার পথে সব পরিষ্কার করি, এটি আমি পছন্দ করি।’মরিনোর ৪৭ তলা থেকে পড়েও বেঁচে যাওয়ার ঘটনা ২০০৭ সালের ৭ ডিসেম্বরের। নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানের আপার ইস্টে ৪৭ তলাবিশিষ্ট বিলাসবহুল সলো টাওয়ারের জানালা পরিষ্কার করতে গিয়ে পড়ে যান মরিনো।লিফটের সাহায্যে এই উঁচু ভবনে ওঠেন মরিনো ও তার ছোট ভাই ভাই। তখন ভবনের চূড়ায় তাপমাত্রা ছিল শূন্যের কাছাকাছি। কিছু সময় পরে দুর্ঘটনা ঘটে।যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম মন্ত্রণালয়ের দুর্ঘটনাবিষয়ক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জানালা পরিষ্কার করার জন্য ১৬ ফুট চওড়া ওয়াশিংপ্লাটফর্মে ওঠেন তারা। যে তারের সাহায্যে এটি ঠিক জায়গায় ছিল, হঠাৎ সেই তারের সংযোগ পয়েন্ট বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার ছিড়ে দুই ভাই-ই নিচে পড়ে যান।সলো টাওয়ারের ৪৭২ ফুট উচ্চতা থেকে পড়ে যাওয়ার পর মরিনোর ছোট ভাই এডগার ঘটনাস্থলে মারা যান। ঘণ্টায় ১২০ মাইল গতিতে মাটিতে আছড়ে পড়েন তারা।এডগার পড়েছিলেন একটি কাঠের বেড়ার ওপর। আর মরিনো পড়েছিলেন ভাঙাচোরা জিনিসের স্তূপের ওপর। এডগারকে সাহায্য করার মতো অবস্থা ছিল না। কিন্তু মরিনো কাঁতরাচ্ছিলেন। যদিও উঠে দাঁড়াতে পারেননি তখন, তবে তার জ্ঞান ছিল।মনিরো এখন পুরোপুরি সুস্থ্য। চার সন্তানের জনক তিনি। ছোট ছেলের বয়স এখন আট মাস। পরিবার নিয়ে ভালো কাটছে তাদের জীবন। তবে এত উঁচু থেকে পড়ে গিয়েও তার বেঁচে থাকার ঘটনা এখন এক জীবন্ত কিংবদন্তি।
এই বিভাগের আরো খবর