শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির পদ ছাড়লেন খোরশেদ

প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

যুগেরচিন্তা২৪ডট কম :

‘‘এক নেতার এক পদ” অনুসরণ ও কমিটি গঠনে রাজপথের নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়নের কারণে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। মহানগর যুবদলের পদটি চলমান রেখে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। পদত্যাগ পত্রটি ফ্যাক্স, ই-মেইল ও কুরিয়ারের মাধ্যমে আজ শনিবার সন্ধ্যায় পাঠিয়েছেন খোরশেদ। তিনি তার পদত্যাগপত্রে বলেন, আমাদের বাদ দিলে দল যদি আরো গতিশীল ও শক্তিশালী হয় তবে আমি ও আমারা নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের পদ থেকেও অব্যাহতি দিতে প্রস্তুত আছি। দেশনেত্রী,আমাদের “মা”। মায়ের নির্দেশে দলের স্বার্থে  যে কোন ত্যাগ স্বীকার  করতে সদা প্রস্তুত আছি আমরা। কোন পদ পদবী না থাকলেও একজন সাধারন কর্মী হিসাবে  স্বৈরাচারী আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকার পতন করে দেশে জাতীয়তাবাদী দল ও জোটের সরকার গঠনের সংগ্রামে আমাদের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও দলের স্বার্থে   কাজ করে যাব। আমৃত্যু দলের সাথে থাকবো, ইনশাল্লাহ। এক্ষেত্রে সবার দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।         নিচে পদত্যাগপত্রটি তুলে ধরা হলো।   -----------------------পদত্যাগ পত্র---------------------- তারিখঃ ২৫-০২-২০১৭ মাননীয়, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চেয়ারপার্শন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। গুলশান, ঢাকা।   বিষয়ঃ নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ২য় যুগ্ম সম্পাদকের পদ থেকে অব্যহতির আবেদন।   জনাব, আসসালামু আলাইকুম। সদ্য ঘোষিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ২য় যুগ্ম সম্পাদক পদে আমাকে মনোনীত করায় আপনার প্রতি অবনত মস্তকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনি আমাদের মা। শুধু আজকে পদ দিয়ে নয়, ইতিপূর্বে ১৫/০১/২০১৫ইং তারিখে আপনার ফোন কলও আমাকে গর্বিত করেছে। আমি ও আমার পরিবার চিরদিনের জন্য আপনার ও দলের কাছে ঋণী। দল থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে আমি ও আমাদের সহযোদ্ধারা এড.তৈমূর আলম খন্দকারের নেতৃত্বে চেষ্টা করেছি দলের জন্য কাজ করতে।১/১১ থেকে এমন কোন আন্দোলন ও কর্মসূচী নাই, যা আমি ও আমরা আয়োজন ও পালন করি নাই। পদ নিয়ে ঘুমিয়ে থাকি নাই।পরিবার পরিজন,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,সন্তান ফেলে মাসের পর মাস,বছরের পর বছর পালিয়ে বেড়িয়েছি। বিশেষ করে আমরা নিজেদের ব্যাবসা বানিজ্য ও সন্তানদের লেখাপড়া নষ্ট করেছি। শেষ আন্দোলনেও ২০১৪ সালের ২৯ শে ডিসেম্বর ২০১৩ সালের মার্চ ফর ডেমোক্রেসি ¯¦রণে হরতালের আগের রাতে ২৮/১২/২০১৪ বাড়ী  থেকে বেড়িয়ে ১০ মাস ফেরারী থেকেছি, প্রথম ৩ মাসে প্রায় ১৫ টি মামলার আসামী হয়েছি,যার মধ্যে দ্রুত বিচার, পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, অগ্নি সংযোগের অভিযোগ রয়েছে।উল্লেখ্য যে ৩ মাসের অবরোধের বেশীর ভাগ দিনে আমাদের একটিভিটি ছিল।অবশেষে ১১ জন সহযোদ্ধা সহ আপনাকে সহ অন্যান্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে অবগত করে ২৫/১০/২০১৫ আদালতে আত্মসর্ম্পন করে ২ মাস ৩ দিন পরে উচ্চ আদালতের জামিনে ২৮/১২/২০১৫ কারাগার থেকে মুক্তি পাই। কাকতলীয় ভাবে ঠিক ৩৬৫ দিন পরে বাড়ী ফিরেছিলাম। ০৫/০১/২০১৭ সকাল ১১টায়  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নাসিকের কাউন্সিলর হিসাবে শপথ গ্রহন করে নারায়ণগঞ্জে ফিরে বিকাল ৩ টায় গনতন্ত্র হত্যা দিবস ঊপলক্ষে কালো পতাকা মিছিল বের করি ও গ্রেফতার হই। আমি ও আমাদের কর্মকান্ড কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধমের কল্যানে সারা দেশের জাতীয়তাবাদী শক্তি অবহিত আছে, সাক্ষী জেলা ও নগরবাসী। শুধু দলীয় কাজে নয়, সীমিত সামর্থ্য নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে দাড়ানোর যথাসাধ্য চেষ্ঠা করে যাচ্ছি। শুধু রাজনৈতিক নয়,সামাজিক ভাবেও তাদের পাশে আছি। মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত ও আপনার দোয়ায় এবং এলাকাবাসীর ভালবাসায় আমি পরপর ৩ বার কাউন্সিলার নির্বাচিত হয়েছি। ২০০৪ সালে পৌর কাউন্সিলার ও ২০১১ ও ২০১৬ সালে পরপর ২ বার ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ ভোটে সিটি কাউন্সিলার নির্বাচিত হয়েছি। মাননীয় দেশনেত্রী, একজন সাধারণ কর্মী হিসাবে আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাতে চাই,। আপনি যে সকল কেন্দ্রীয় নেতাদের উপরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিঠি গঠনের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তারা মাঠ পর্যায়ে ”কর্মের বিনিময়ে কর্মীর পদ পদবী” নির্ধারণ করেন নাই।কমিঠি গঠনে ২/১ জন কেন্দ্রীয় নেতা তাদের ব্যাক্তি ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন মাএ,সংগঠনের কোন চিন্তা করেন নাই।সক্রিয়  তৃণমূল নেতাকর্মীদের এড়িয়ে ১৫/২০ বছরের নিস্ক্রীয়দের পদায়ন করা হয়েছে। নেতা-কর্মীর ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে নাই। কমিটিতে আমাকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের দক্ষ শ্রমিকেরও  নীচে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি দলকে আরো গতিশীল করার জন্য “এক নেতার এক পদ” নিয়ম চালু করা হয়েছে। তাছাড়া আমি আপনার দয়ায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের বর্তমান আহবায়ক ও গত কয়েক বছরের সরকার বিরোধী আন্দোলনে জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশী মামলার আসামী আমি।তাই দলীয় নীতি “এক নেতার এক পদ” অনুসরন করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক পদটি রেখে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ২য় যুগ্ম সম্পাদকের পদটি ছেড়ে দিয়ে দলকে আরো গতিশীল করতে চাই। দূর্বিসহ বাকশালী শাষন থেকে দেশবাসীকে মুক্ত করার লক্ষে দলকে আরো গতিশীল করার স্বার্থে  যদি প্রয়োজন পরে তবে আমি ও আমারা নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের পদ থেকেও অব্যহতি দিতে প্রস্তুত আছি। আপনি দেশনেত্রী,আমাদের “মা”। আপনার নিদের্শে দলের স্বার্থে  যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে সদা প্রস্তুত আছি আমরা।  স্বৈরাচারী আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকার পতন করে দেশে জাতীয়তাবাদী দলের সরকার গঠনের সংগ্রামে আমাদের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও দলের ¯স্বার্থে   কাজ করে যাব, ইনশাল্লাহ। অতএব জনাব নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির ২য় যুগ্ম সম্পাদক পদ থেকে অব্যহতি দিয়ে বাধিত করবেন। ধন্যবাদন্তে শহীদ জিয়ার আর্দশিক সন্তান অনুলিপিঃ                                                                                          আপনার অনুগত ও স্নেহধন্য , ১। দপ্তর সম্পাদক- কেন্দ্রীয় বিএনপি, পল্টন, ঢাকা। ২। সভাপতি/ সাঃ সম্পাদক- কেন্দ্রীয় যুবদল, ঢাকা। (মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ) ০১৭১৭-১৭৮২৪২  
এই বিভাগের আরো খবর