শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

২০৩০ সালের আগেই শতভাগ মানুষকে নিরাপদ পানি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৭

যুগেরচিন্তা২৪.কম: ২০৩০ সালের আগেই দেশের শতভাগ মানুষকে নিরাপদ পানির আওতায় আনতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) আগেই সেটি বাস্তবায়ন হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘ঢাকা পানি সম্মেলন’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ৮৭ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানির আওতায় এসেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সেটি শতভাগে পৌঁছুবে।’ পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই নীতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বের তাগিদ থেকে নিরাপদ পানি ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব পরিস্থিতির দিকেও আমাদের নজর দিতে হবে।’ সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘পৃথিবীর শতকরা ৯০ ভাগ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী পানি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যুর শতকরা ৭০ ভাগই সংঘটিত হয় বন্যা এবং অন্যান্য পানি-সংক্রান্ত দুর্যোগে।’ বিশ্বের প্রায় ১০৭ কোটিরও বেশি মানুষ নদী অববাহিকায় বসবাস করেও পানির চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হচ্ছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষ্য সৃষ্ট ৮০ শতাংশেরও বেশি অপরিশোধিত বর্জ্য পানি প্রকৃতিতে ফিরে গিয়ে বড় আকারে পরিবেশ দূষণ সৃষ্টি করছে।’ স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ঢাকা পানি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডেলটা কোয়ালিশনের কো-চেয়ারম্যান আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পানিসম্পদ মন্ত্রী ও ডেলটা কোয়ালিশনের চেয়ারপারসন আনিসুল ইসলাম মাহমুদ প্রমুখ। উল্লেখ্য, গোটা বিশ্বে এই মুহূর্তে ২৪০ কোটি মানুষ স্যানিটেশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। নিরাপদ পানির অভাবে পৃথিবীতে বছরে ১০ লাখ মানুষ মারা যায়, যাদের অধিকাংশই শিশু। প্রতিদিন গড়ে বিশ্বে এক হাজার শিশু বিশুদ্ধ পানির অভাবে প্রাণ হারায়। এসব তথ্য তুলে ধরে ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর মরক্কোর মারাকাসে জলবায়ু সম্মেলনে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে পানি ব্যবস্থাপনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন বিষয়ে আলাদা তহবিল গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এদিকে দুদিন ব্যাপী শুরু হওয়া এ সম্মেলনের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন শনি ও রবিবার নিরাপদ পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে আলোচনা হবে। রবিবার বিকেলে ‘ঢাকা পানি ঘোষণা’র মাধ্যমে এ পানি সম্মেলনের পর্দা নামবে।
এই বিভাগের আরো খবর