শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

নাসিক মেয়র আইভীর পথেই মাহমুদা মালা !

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০১৭   আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪ ডটকম) : নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মাহমুদা মালার সাহসী প্রতিবাদ ও তাঁর সম্পর্কে অশোভন ও কুরুচীপূর্ণ বক্তব্যের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপের দরুণ আওয়ামী পরিবারের সৎ, মুজিবাদর্শের সৈনিক, দল অন্তপ্রাণ, মরমী সমর্থকদের মাঝে সাহস ও প্রেরণা হয়ে উঠেছেন। তিনি মূলত রাজনৈতিক কলুষতা ও কদর্যতার বিরুদ্ধেই আপোষহীন ভূমিকা পালন করছেন বলে রাজনৈতিক বোদ্ধারা মনে করছেন। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের অনেক শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও তৃনমূলের মতে, সম্প্রতি সালাম চেয়ারম্যান কর্তৃক দলের নেত্রী মালার প্রতি অশ্রাব্য কটুক্তি করে শুধু গর্হিত অন্যায়ই করা হয়নি পুরো নারী সমাজকেই চরম অবমাননা করা হয়েছে। তারা আরও মনে করছেন, এরকম অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বা প্রতিবাদ জানিয়ে মাহমুদা মালা বর্তমানে রক্ষা করছেন আওয়ামী পরিবারের মূল স্রোতধারা এবং দলের ভাবমূর্তী। জেলার বর্ষীয়ান রাজনৈতিক বোদ্ধাতের অভিমত হচ্ছে, নারায়ণগঞ্জের মাটিতে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের লড়াকু সৈনিক মর্গান হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক কারাবরণকারী, নির্যাতিত মমতাজ বেগম (মর্গান স্কুলের সামনের সড়কটি যার স্মরণে রাখা হয়েছে) যেমন জন্মেছিলেন। তেমনি স্ফুলিঙ্গের মতো জ্বলে উঠা মহিয়সী নারী ড. সেলিনা হায়াত আইভিকে এখন নারায়ণগঞ্জবাসী পাশে পেয়েছেন। ঠিক তেমনি আজকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দ্রোহী হয়ে উঠা আরেক অকুতভয় নারী মাহমুদা মালাকে প্রত্যক্ষ করছেন তারা। ‘গডফাদারকে খুশি করার জন্যই ওদের এ ধরণের কুরুচীপূর্ন বক্তব্য পত্র-পত্রিকাসহ ফেইসবুকে দেখতে পাচ্ছি। আমি যাকে গডফাদার বলছি নারায়ণগঞ্জবাসী জানে আমি কাকে গডফাদার বলছি। ভাল মানুষের লেবাস মুখে রেখে সারাদিন যে ধর্মের কথা বলে, মাদকের ব্যবসা, সন্ত্রাস তার ছত্রছায়ায় হয়। গডফাদাররা মুখে বড়বড় কথা বলে, ওয়াজ করে। মুখে ভাল কথা বলে, ধর্মের কথা বলে অথচ সন্ত্রাস, নারী ব্যবসা,মাদকব্যবসাসহ নানা অপকর্ম তার ছত্রছায়ায় হয়’। মালার এ বক্তব্য নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক মহলসহ পুরো আওয়ামী পরিবারে এখন এ খবর চাউর হয়ে গিয়ে হৈচৈ আলোড়ণ ও সমালোচনা-আলোচনার রীতিমত সুনামি বইছে। বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগের প্রাজ্ঞজনরা বলেন, মাষ্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে ইউরোপীয় ক্লাবে আক্রমনকারী প্রীতিলতা ওয়েদ্দেদারের মত আরেক দুঃসাহসী নারী নাসিক মেয়র আইভীর পথ ধরেই মালা হাঁটছেন। এটা ‘গুড সাইন’ অর্থাৎ শুভ লক্ষণ উল্লেখ করে তারা আরও বলেন, নাচোল বিদ্রোহী নেত্রী ইলা মিত্রের মত প্রদীপের সলতে হয়ে জ্বলে ওঠা অকুতোভয় সাহসী আইভী যেমন লড়ে লড়ে নরায়ণগঞ্জকে বাসযোগ্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে াঠক তেমনি আওয়ামী লীগে মাহমুদা মালাকে দৃঢ়তার সঙ্গে থাকতে হবে অশুভের বিরুদ্ধে। এমন একদিন আসবে আইভীর মতো মালাও হবে নারায়ণগঞ্জের গণমানুষের চোখের মনি। নারায়ণগঞ্জে অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াকু ভাবমূর্তী তৈরিতে নাসিক মেয়র আইভিকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। নিজের অবস্থান তৈরিতে নিরলস সংগ্রাম করে গেছেন এই নির্ভীক নারী। তিনি এখন অন্য নারীদের পথপ্রদর্শণে অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। অশুভের বিরুদ্ধে তাঁর মাথানত না করা দ্রোহ তাঁকে নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে বড় মাপের মানুষ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। তিনি এখন নারী সমাজের গৌরব। ঠিক তেমনি আইভীর পথ ধরে সাহসী মালা আরো অনেকদূর পর্যন্ত এগিয়ে যাক তাই আওয়ামী পরিবারের মূল ¯্রােতধারার কর্মীদের প্রত্যাশা। আওয়ামী রাজনৈতিক ঘরানার বিশিষ্টজনদের মতামত হচ্ছে, গণমাধমের কাছে মাহমুদা মালা মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাম এর বিরুদ্ধে যে অশোভন, কুরুচীপূর্ণ ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন তা সময়োপযোগী। মালা সেখানে অত্যন্ত সাহসীকতাপূর্ণ দৃঢ়কন্ঠে যা বলেছে তা প্রশংসনীয়। আর জেলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এটাকে সুগভীরভাবে বিশেষ দৃষ্টি নিবদ্ধ করে তীক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ করছেন। তারা মনে করছেন সাম্প্রতিক সময়ের নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী পরিবারের মাঝে চলমান অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধ মালার ওই ঝাঁঝালো ও দুঃসাহসী বক্তব্যে যেন ঘি ঢেলে দিয়ে আরও উসকে দিয়েছেন। ফলে এ নিয়ে জল অনেকদূর গড়াতে পারে তবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে নিজের মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে মাহমুদা মালা এখন আইভীর মতই নারায়ণগঞ্জবাসীর শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে দাঁড়িয়েছেন। হঠাৎ করেই মাহমুদা মালা বিদ্রোহে ঝলসে উঠেছেন ব্যাপারটা তেমন নয়। এর কার্যকারণ দিকও রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এর আগেও মাহমুদা মালা জেলা ও মহানগর যুব মহিলা লীগের কমিটি নিয়ে দ্বন্দে তাঁর দুঃসাহসিকতার সঙ্গে লড়াকু ভূমিকা রেখেছিলেন। জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক লিন্ডা ও মহানগর যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক সন্ধ্যার বিরুদ্ধে আপত্তিকর কথা বলার কারণেই মূলত তিনি প্রতিবাদী হয়ে সময়োপযোগী আপোষহীন বক্তব্য রেখেছিলেন। জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক লিন্ডা এবং মহনগর যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক সন্ধ্যার পক্ষে তাঁর সাহসী অবস্থান তাঁকে নারীকর্মীসহ আওয়ামী পরিবারের সৎ, দল অন্তপ্রাণ, মরমী সমর্থকদের মাঝে সাহস ও প্রেরণা যুগিয়েছে। পূর্ববর্তী ঘটনাবহুল দ্বন্ধের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো তিনি তাঁর প্রতি সালাম চেয়ারম্যান কর্তৃক অবমাননাকর ও কুরুচীপূর্ন মন্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদে রাজনৈতিক মাঠ গরম করেছেন। রাজনৈতিক বোদ্ধারা মনে করেন, পরিবারে-সমাজে-রাষ্ট্রে নারীর সমঅধিকার সমমর্যাদার পরিবেশ থাকতে হবে। সেখানে আওয়ামী লীগের মত একটি অসাম্প্রদায়িক উদার গণতান্ত্রিক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সংগঠনে নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গী কুরুচীপূর্ণ হলে চলবেনা। নারীর অধিকার, মর্যাদা, ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে সংগঠনের অনেক কাযক্রম রয়েছে। অনেকে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মায়ের মত, বোনের মত জ্ঞান করেন অথচ দলের নেত্রী বা কর্মীদের প্রতি অশোভন বা অশালীন মন্তব্য করতে ছাড়েন না। এটা একাধারে দুর্ভাগ্যের বিষয় অন্যদিকে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বর্হিভূত কর্মকান্ডও বটে। বিদ্রোহী নজরুলের সেই বিখ্যাত কবিতা ‘বিশ্বের যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর/ অর্ধেক তার দিয়েছি নারী অর্ধেক তার নর।’ অনেকে নারীর মর্যাদার জন্য গালভরা বক্তব্য দিয়ে থাকে আবার অবচেতনে পুরুষতন্ত্রের পক্ষে সাফাই গেয়ে চলে। কার্যত দলের নারী কর্মীদের প্রতি আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মীর দৃষ্টিভঙ্গী পাল্টাতে হবে। চলতি সময়ে মাহমুদা মালাও এখন ‘সময়ের সাহসী সন্তান’ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক আকাশে উদ্ভাসিত নক্ষত্র হিসেবে লাইম লাইটে চলে এসেছেন। জেলায় যুব মহিলা লীগের একটি কমিটি বিদ্যমান থাকা অবস্থায় সাংসদ শামীম ওসমানের নির্দেশে আরও একটি কমিটি গঠনের বিষয়ে শক্ত অবস্থানে থেকে দৃঢ়তার সঙ্গে মুখ খুলেছেন মাহমুদা মালা। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের শক্তিমান আওয়ামী লীগ নেতা জেলার ৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে দুঃসাহসী বিস্ফোরক মন্তব্য করে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছেন। যা এখন তৃনমূল থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সবার জন্য এক বিস্ময়কর ঘটনা ও অনুপ্রেরণাদায়ক। এর আগে তিনি যুগের চিন্তা ২৪ ডটকমকে এক সাক্ষাৎকার প্রদাণের সময়ে যুব মহিলা লীগের লিন্ডা ও সন্ধ্যার পক্ষে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘শামীম ভাইয়ের মনের মত না হলেই সে ছেলে হলে রাজাকার আর মেয়ে হলে চরিত্র খারাপ হয়ে যায়।’ সাংসদ শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এধরণের বিস্ফোরক সাহসী কথা বলে এখন তিনি আলোচিত সর্বমহলে। কিছু দিন আগে ফেইসবুকে তাঁকে নানা ধরণের হুমকি-ধমকি দেয়া হলে তিনিও ফেইসবুকে ঝড় তুলেন। এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে তারা দেখতে ভাল না হলেও তারা দলের নিবেদিত নারীকর্মী। বলা যেতে পারে তারা দেখতে ভালো না কিন্তু তাদের চরিত্র খারাপ বলা হবে সেটা কখনোই মেনে নেয়া হবেনা। সেই সময়ে তিনি আরও বলেন, যখনই চরিত্র নিয়ে বলা হয়েছে তখনই আমি রুখে দাঁড়িয়েছি। শুধু শামীম ভাই নয়, অহেতুক যদি কোন মেয়ের চরিত্র সম্পর্কে বলা হয়, যদি কোন ছেলের প্রতিভার সঙ্গে না পেরে তাকে রাজাকারের ছেলে বলা হয় আমি তাতে প্রতিবাদ করবোই। কোন নারীকে নিয়ে তার চরিত্র সম্পর্কে বলা ঠিক না। সে সময়ে তিনি তাঁর সম্পর্কে ছাত্রলীগ কর্তৃক নানা কটুক্তির বিরুদ্ধে যেমন দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়ে বলেছিলেন, ‘ওরা হচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় বিশেষ কোন ব্যাক্তির ছাত্রলীগ।’ বিশেষ কোন ব্যাক্তির ছাত্রলীগ হয়ে আমাকে নানা কথা বলছে। ঠিক তেমনি তিনি সালাম চেয়ারম্যানের কটুক্তির প্রতিবাদে বলেন, মূলত গডফাদারকে খুশি করার জন্যই ওদের এ ধরণের কুরুচীপূর্ন বক্তব্য পত্র-পত্রিকাসহ ফেইসবুকে দেখতে পাচ্ছি। তিনি বলেন তারা গডফাদারকে খুশি করতে চায়। এর আগে তার (সালাম চেয়ারম্যান) গডফাদার ছিল ৭ খুনের আসামী নুর হোসেন। সেখানে এখন মাদক, জুয়া, নারী দিয়ে দেহব্যাবসার মত কর্মকান্ডে লিপ্ত সে। তার এখন নতুন গডফাদার রয়েছে তার নাম আমি বললাম না। তাকে (নতুন গডফাদার) খুশি করার জন্য সে আমার সম্পর্কে বিবৃতি দিয়ে আমাকে হেয় করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। কারণ গডফাদার তাকে দিয়ে মাদক, জুয়া, নারী দিয়ে দেহব্যাবসা এবং এছাড়াও অস্ত্র ব্যবসার মত অপকর্ম করায় বলে আমি জেনেছি। আমি জেনেছি সালাম চেয়ারম্যানের বৈধ কোন ব্যাবসার সোর্স নেই। অবৈধ কাজ করে বলেই সে গডফাদারের ছত্রছায়ায় থাকে এবং গডফাদারকে খুশি করার জন্যই আমাদের মত সৎ রাজনৈতিক কর্মীকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ ধরণের বাজে, কুৎসিত মন্তব্য করে। এরা প্রকৃতপক্ষে কোন মায়ের গর্ভে জন্মায়নি। এরা কোন মায়ের সন্তান নয়। সে যা বলেছে তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। অশালীন ও কুরুচীপূর্ণ ওই মন্তব্য কেবল ওরাই করতে পারে। এরা নিচু শ্রেনীর, এরা জানোয়ার ও পশু। এরা জানে নারীর অবমাননা বা অসম্মান করতে। এই লোক ছিল নুর হোসেনের টি বয় অর্থাৎ চা আনা নেয়ার কাজে ছিল। নুর হোসেনের সঙ্গে থেকে সে মাদক, দেহব্যবসাসহ নানা অপকর্ম করেছে। তার যে নতুন গডফাদার রয়েছে তার কাছে বিশ্বস্ত হওয়ার জন্যই সে আমার সম্পর্কে এ ধরণের বাজে মন্তব্য করতে পেরেছে। সে একজন খুনি এবং মাদক ব্যবসায়ী। সে মানুষ হত্যার দায়ে অভিযুক্ত। এরা আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে দলকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। আমার এ বক্তব্যের সাথে সাথে আমার মহনগরের নেতৃবৃন্দ আমার সঙ্গে একমত হবেন বলে আমি আশা করি। আমি ইতিমধ্য জেলা ও মহানগরের নেতাদের অবহিত করেছি। এ ব্যাপারে আমি আমার নেতা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহাকে জানিয়েছি। এরা গডফাদারের নির্দেশে এহেন কোন অপকর্ম নেই যে করেনা। আমি শুধু সালাম নয় সালাম জাতীয় যারা আমার বিরুদ্ধে অশোভন আচরণ কিংবা কুৎসা রটনা করছে তাদের সবাইকেই আমি ধিক্কার জানাচ্ছি। এই গডফাদারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলেই আমরা নারীরা হয়ে যাই চরিত্রহীন আর গডফাদারের অপছন্দনীয় পুরুষ কর্মীরা হয়ে যায় রাজাকার। সালাম চেয়ারম্যান একজন খুনি। গত মার্চ মাসে সালাম চেয়ারম্যান তার এলাকায় একটি খুন করেছে। একজন আইনজীবি হিসেবে আমি ওই মামলার বিষয়ে অবগত আছি। সালাম কোন দলের লোক নয়। এরা প্রকৃতপক্ষে কোন দল করেনা। এরা কখনো নুর হোসেনের ছত্রছায়ায় কখনো অন্য কোন গডফাদারের ছত্রছায়ায়। বর্তমানে সালামের নতুন গডফাদারের নাম আমি এখন বলছিনা, পরে বলবো।
এই বিভাগের আরো খবর