শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

শেখ রাসেল`র জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেল'র ৫৫ তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আনুষ্ঠিত হয়।

 

সংগঠনের সভাপতি বিশিষ্ট গীতিকার এবং সুরকার শেখ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন। 

 

প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম ঠান্ডু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক ড.সেলিনা আক্তার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি ওমর ফারুক, দৈনিক বঙ্গজননীর প্রধান সম্পাদক আলী নিয়ামত।

 

আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ঐতিহাসিক ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রাবস্থায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যাকা-ের শিকার হন পরিবারের সবার আদরের শেখ রাসেল।

 

সংসারের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান হিসেবে রাসেল সকলের কাছে অত্যন্ত প্রিয় পাত্র হয়ে উঠেছিলেন। এ ঘটনাগুলি বঙ্গবন্ধু পরিবারের জীবিত দুই সদস্যের স্মৃতিচারণ হতে শুনতে পাই। মা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব বই পড়তে ভালবাসতেন এবং বৃটিশ দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের খুব ভক্ত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর কাছে বেগম মুজিব বার্ট্রান্ড রাসেলের অনেক বিবরণ শুনেছেন। বার্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে শেখ রাসেলের নামকরণ করা হয়।

 

তারা আরও বলেন, রাসেলের ছোটকাল কেটেছে বাবাকে ছাড়াই। কারণ তার বাবা রাজনৈতিক বন্দী হয়ে কারাগারে ছিলেন দীর্ঘদিন। বাবাকে দেখতে না পেয়ে মা ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে আব্বা বলে সম্বোধন করতেন রাসেল। ‘কারাগারে রোজনামচা’ বইয়ে শেখ মুজিব অসংখ্যবার রাসেলের কথা তুলে ধরেছেন এবং তার নিকট যে ছোট্ট সন্তান খুব প্রিয় ছিল সেটিও ফুটিয়ে তুলেছেন এবং তিনি মাঝে মাঝে নিজেকে বিবেকের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতেন ছেলেটিকে সময় না দেওয়ার কারণে।

 

রাসেলের চরিত্রে আভিজাত্যের ছোঁয়া ছিল, গাম্ভীর্যতাও লক্ষ্য করা গেছে। পরিস্থিতি এবং সময়ের দাবি মিটিয়ে রাসেল তাল মিলিয়ে চলেছেন। বাড়িতে দুষ্টুমি করত সবসময়, কিন্তু রাষ্ট্রীয় সফরে বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন সর্বদাই।

 

মাত্র ১০ বছর বয়সে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হয় শেখ রাসেল। অথচ এ বাচ্চা ছেলেটির উপর জিঘাংসামূলক আচরণ করেছে খুনিচক্র, সবার সামনে দিয়ে হেঁটে নেওয়ার পর অর্থাৎ লাশের সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরে গুলি করে ঝাঁঝড়া করে দেওয়া হয় কোমল দেহখানি। নিষ্পাপ এ ছেলেটির বুকে গুলি চালাতে একটুও হাত কাঁপেনি খুনিচক্রের।

 

বক্তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যা কোন পারিবারিক হত্যাযজ্ঞ নয়, এটা ছিল বাংলাদেশকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ বহু আগেই মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুরের মত উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হত।দেরীতে হলেও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষে যে যুগোপযোগী এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন সেজন্য দেশবাসীর পক্ষ থেকে বিশেষ কৃতজ্ঞতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

এই বিভাগের আরো খবর