শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ধর্মঘট ও বৈরী আবহাওয়াতেও বাজার স্থিতিশীল

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০১৮  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪): টানা কয়েকদিন পণ্যবাহী পরিবহণ শ্রমিকদের ধর্মঘট এবং সারাদেশে বৈরী আবহাওয়া থাকা সত্ত্বেও স্থিতিশীল রয়েছে চাল, তেল ও ডালসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর দাম। 

শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি না হওয়ায় আগের মতোই রয়েছে দাম। কমেছে আদা রসুনসহ আরো কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। মাছের বাজারের মাছের সরবরাহ পর্যাপ্ত হলেও দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের তেমন ভিড় দেখা যায়নি।

রোববার (৭ অক্টোবর ) দিগুবাবুর বাজারে ঘুড়ে দেখাযায়, শীতকালীন সবজি টমেটো ৮০ টাকা থেকে কমে এখন ৭০ টাকায় বিক্রী হচ্ছে। গাজর ১০০-৯০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে বিক্রেতারা। এবং ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। এবং মিষ্টি কুমড়ো কেজি ২৫ থেকে ২০টাকা। কাঁচা মরিচের দাম তিনদিন উঠানামা করার পরে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০টাকায়।

বাজারে কাঁচা সবজি কিনতে আসা সুলতানা আক্তার নামের এক তরুণীকে সবজীর দাম সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমরা মনে করেছিলাম যে সারাদেশে টানা কয়েকদিন বেশ কয়েকটি ভারী যান চলাচল বন্ধ থাকায় এর প্রভাব কাঁচা বাজারে পড়বে কিন্তু আসার পরে পরিস্থিতি ভিন্ন। পর্যাপ্ত পরিমাণে পণ্য মজুত থাকায় এর প্রভাবটা বেশি একটা পরে নাই।

এবিষয়ে সবজি বিক্রেতা আনিস মিয়া বলেন, আমাদের এই বাজারে বিভিন্ন শাক-সবজি আসে এগুলো মনে করেন মুন্সিগঞ্জ, আলীরটেক, সবুজনগর এবং গোগনগরের আশে-পাশের এলাকা থেকে নৌ পথে আসে আর তাই পণ্য পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট থাকার কারণে আমাদের কাঁচা বাজারে তেমন কোন প্রভাব পরেনি।

নিত্য প্রয়োজনীয় আলু পাল্লা হিসেবে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায় এবং পিয়াজের কেজি ৪৫-৪০টাকায়। আদার দাম ১২০ টাকা থেকে কমে এখন ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং রসুন ৫০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এবং মাছের বাজারেও লক্ষ্যে করার মতো ক্রেতাদের উপস্থিতি দেখা গেছে। ধরা ও বিক্রির উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাজারে নেই ইলিশের উপস্থিতি।  আর অন্যান্ন মাছের মধ্যে রূপচাঁদা প্রতি কেজি ৮০০টাকা এবং চিংড়ি ৬০০ থেকে ৫০০ টাকা এবং রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ এর মধ্যে।

চালের বাজারেও দেখা যায়নি তেমন পরিবর্তন, কাটারীভোগ ৯০টাকা প্রতিকেজি, মিনিকেট ৬৫ টাকা প্রতি কেজি, নাজির বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫ টাকা, লতা ৫২টাকা, জামির ৫০টাকা, বাসমতি ৭৬ টাকা কেজি প্রতি দরে বিক্রি হচ্ছে। বয়লার মুরগী ১২৫ এবং গরুর মাংস ৪০০ থেকে ৪৫০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এবং আগের জায়গাতেই রয়েছে ডিমের দাম লাল ডিম ৩২টাকা প্রতি হালি এবং হাসের ডিম ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুসুরের ডাল ৮০টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা দরে। 
 

এই বিভাগের আরো খবর