শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ৩০ মে ২০১৯  

ডেস্ক রিপোর্ট( যুগের চিন্তা ২৪) : আজ ৩০ মে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে তিনি নিহত হন।


জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতাও তিনি। প্রতিবছর দিনটি জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী হিসেবে পালন করে বিএনপি।


গতকাল এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শাহাদতবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় উদ্যাপনের জন্য বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।


জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনগুলো। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা করে বিএনপি। আজ সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। একইভাবে সারা দেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।


আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শেরেবাংলা নগরের জিয়াউর রহমানের কবরে বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে দলের নেতা-কর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন, ফাতেহা পাঠ করবেন। ছাত্রদলের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমানের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় শহরগুলোয় জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে। 


এ ছাড়া জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের উদ্যোগে মাজারে কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ করবে।


জিয়াউর রহমানের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামে। তাঁর শৈশবের কিছুদিন কাটে বগুড়া ও কলকাতায়। ভারত বিভাগের পর রসায়নবিদ বাবার বদলির সুবাদে তিনি করাচি চলে যান। করাচির একাডেমি স্কুল থেকে ১৯৫২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেন। ১৯৫৩ সালে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন কাকুল মিলিটারি একাডেমিতে। ১৯৫৫ সালে তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদ লাভ করেন।


১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে লাহোর সীমান্তের খেমকারান সেক্টরে ক্যাপ্টেন জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ভারতের আক্রমণ ঠেকিয়ে দেওয়ায় বীরত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সামরিক উপাধি দেওয়া হয়।


জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট মুক্তিযুদ্ধ শুরু করে। যুদ্ধকালে প্রথমে তিনি সেক্টর কমান্ডার ও পরে তাঁর নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে গঠিত জেড ফোর্সের নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁকে বীরউত্তম উপাধিতে ভূষিত করে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার।

এই বিভাগের আরো খবর