শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

চাঁদাবাজির মামলায় আজমেরী ওসমানের ২ সহযোগীর জামিন

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার একটি চাঁদাবাজি মামলায় আজমেরী ওসমানের ২ সহযোগীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের আদালত এ জামিন মঞ্জুর করেন।


আসামিরা হলো- জেলা ছাত্রসমাজের আহ্বায়ক ও ফতুল্লার ইসদাইর এলাকায় মো.ফকির চানের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন রুপু (৩২) এবং সোনারগাঁয়ের নাজিরপুর এলাকার গোলজার হোসেনের ছেলে ও শহরের গলাচিপা ডিএন রোডের বাসিন্দা মোখলেছুর রহমান (৩৫)।


এর আগে গত রোববার  (৮ সেপ্টেম্বর ) সকালে সিনিঢর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.আফতাবুজ্জানের আদালত হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


প্রসঙ্গত, গত ৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে শহরের আমলাপাড়ার বাসিন্দা মৃত হাজী আহসান উল্লাহ’র ছেলে বাচ্চু মিয়া বাদী হয়ে আজমেরী ওসমানকে প্রধান আসামি করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় শাহাদাৎ হোসেন রুপু ও মোখলেছুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হলেও আজমেরী ওসমান ও জুয়েল পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ৫ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ৮টায় একটি নম্বর থেকে কল করে আজমেরী ওসমানের পরিচয় দিয়ে মামলার বাদী বাচ্চু মিয়ার কাছে ৬৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা আনার জন্য মোখলেছুর রহমান কালিমন্দিরের সামনে বাচ্চু মিয়ার সাথে দেখা করে। পরে আজমেরী ওসমান তাকে ডাকছে বলে মোখলেছুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন জোর করে টেনে-হিচঁড়ে তাকে কালিরবাজারের মাংস পট্টির আফসু মহাজনের হোটেলের সামনে নিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। মারধরের পর চাঁদার টাকা না দিলে বাচ্চু মিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়।


ওই দিন দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় শহরের আল্লামা ইকবাল রোডের আজমেরী ওসমানের বাসা ও অফিস দেওয়ান মঞ্জিলে অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি), ফতুল্লা মডেল থানা ও সদর মডেল থানার পুলিশের সদস্যরা। সেখানে আজমেরী ওসমানকে পাওয়া না গেলেও এজাহারনামীয় দুই আসামিকে গ্রেপ্তাতার করে পুলিশ।

এই বিভাগের আরো খবর