শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

একবার তো আমরা দু’দিন ঈদ উদযাপন করেছিলাম : রফিউর রাব্বি

প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০১৮   আপডেট: ১৩ জুন ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪): স্বাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বী। তিনি জানান, ‘একবার ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়েছিল। তখন কেউ বলছিলো চাঁদ দেখা গেছে কেউ বলছিলো চাঁদ দেখা যায় নি। তখন শহরের লোকেরা দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিলো। একদল ঈদ উদযাপন করলো একদিন আর আরেকদল পরের দিন।

 

কিন্তু আমরা দু’দিনই ঈদ উদযাপন করেছিলাম। যুগের চিন্তা ২৪’র ঈদ আড্ডায় মজার এ স্মৃতিচারণ করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বী। ঈদুল ফিতর উদযাপন প্রসঙ্গে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি জানান, ঈদের কেনাকাটা এখনও করিনি। পরিবারের কারো জন্যই এখনও তেমন কেনাকাটা হয়নি। ঈদে খাবার-দাবার নিয়ে আমার কোনো তেমন পছন্দ অপছন্দ নেই। তবে মায়ের হাতের রান্না খেতে খুব ভালোবাসি। এমনিতেই সবাই বলে যে মায়ের হাতের রান্নাটা ভালো। কিন্তু আমার মায়ের হাতের রান্নাটা আসলেই অন্যরকম ছিলো। শুধু আমি না আমার মায়ের হাতে রান্না খেতে ঈদের সময় আমাদের পাড়ার অনেকেই আমাদের বাড়িতে চলে আসতেন। বিশেষ করে সেমাই আর পোলাও।

 

ছোটবেলার ঈদের কেনাকাটার স্মৃতি নিয়ে রফিউর রাব্বি জানান, ঈদ নিয়ে যে স্মৃতি তা একদিনে বলে শেষ করা যাবে না। তবুও যদি বলি ছোটবেলায় আগে আমরা দর্জি দোকানে অর্ডার দিয়ে জামা কাপড় বানাতাম। দর্জি দোকান ছিল টানবাজারে। তো আব্বাই আমাকে আর আমার ভাইকে (ওয়াহেদ রেজা) নিয়ে যেত। সে সময় একরকমের প্যান্ট ছিল চাপা প্যান্টের টাইপের কিন্তু আব্বা এটা পছন্দ করতেন না। তিনি তার মত মাপ দিত। পরে আবার কী হত আমি আর আমার ভাই দু’জনে আমাদের পছন্দ মত মাপ দিয়ে দিতাম। ঈদের সালামী বা ঈদী নেয়া প্রসঙ্গে রফিউর রাব্বি জানান, ঈদ সালামী ছোটবেলায় পেতাম। নামাজ পড়ে আসলেই সালাম করলে বাবা-মা,বড়রা সালামী দিতেন।

 

কিন্তু এখন পাওয়া হয় না। এখন তো ছেলেমেয়েরা ঈদ সালামী বা ঈদী ব্যাপারটা সে ভাবে গ্রহণ করে না। ঈদের একটা মজার ঘটনা স্মরণ করে রফিউর রাব্বি জানান, ১৯৬৯ সালের ঘটনা। ঐ বার ঈদে আমি আর আমার ভাই ওয়াহেদ রেজা ওর ভালো নাম আনিসুজ্জামান আমরা গুলশান সিনেমা হলে ছবি দেখতে গিয়েছিলাম। তখন হত কী স্কুলের যে আইডি কার্ডটা ছিল সেটা দেখিয়ে হাফ টিকেটে একটা ছবি দেখা যেত। তো আমি ও আমার ভাই হাফ টিকেটের দাম দিয়ে ‘শহীদ তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা’ সিনেমা দেখেছিলাম। সময়টা খুব ভালো ছিল। আগের ঈদ উদযাপন আর এখনকার ঈদ উদযাপনে অনেক পার্থক্য জানিয়ে রফিউর রাব্বি বলেন, ঈদ উদযাপনটা আগের মত নেই।

 

কারণ সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে ঈদ উদযাপনেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। বিশ্বকাপ ফুটবলের এখনো কোন দলের সমর্থক তিনি হয়ে ওঠেন নি জানিয়ে রফিউর রাব্বি মজার ছলে জানান, এখনও কোনো দলের সমর্থনে যাই নি। আগে জিতুক তারপর বলবো যে কোন দলের সমর্থনে ছিলাম। পরিবার ছাড়া ঈদ উদযাপন প্রসঙ্গে রফিউর রাব্বি জানান, আমি দেশের বাইরে ঈদ উদযাপন করেছি তিনবার। এক বছর আমি বাইরে ছিলাম তখন দুইটা ঈদ করেছিলাম। তারপর ২০০৬ সালে যখন আমেরিকাতে ছিলাম তখন রোজার ঈদটা পরিবার ছাড়া পালন করেছিলাম। এছাড়া কখনও পরিবার ছাড়া ঈদ পালন করা হয়নি। সবার প্রিয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি ঈদুল ফিতরে তাঁর পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, শুভাকাঙ্খী, নারায়ণগঞ্জবাসীসহ সকলকে ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, খারাপ সময়গুলো ভুলে যাক। সবার ঈদ ভালো ও আনন্দে কাটুক এ কামনা করি।

এই বিভাগের আরো খবর