শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ঈদের সালামী পেলে খুব খুশি হতাম : জাহাঙ্গীর আলম

প্রকাশিত: ১২ জুন ২০১৮   আপডেট: ১২ জুন ২০১৮

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। সব সময়ই নারায়ণগঞ্জে পরিবারের সাথে একসাথে ঈদ উদযাপন করতে ভালোবাসেন। এবারো নারায়ণগঞ্জেই ঈদের সময় কাটাবেন তিনি। ঈদ উদযাপন প্রসঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম যুগের চিন্তা ২৪কে জানান, ছোটবেলায় জামা-কাপড় না কিনে দিলে কান্নাকাটি করতাম।

ঈদেও নতুন জামা পেলে খুব খুশি হতাম। এখন তো আর সেরকমটি নেই। বাচ্চাদের জামা কাপড় কিনে দিতে পারলেই এখন মনে শান্তি লাগে। আর ঈদে সালামী বা ঈদী পেলে খুব খুশি হতাম। সালামির টাকা দিয়ে কতকিছু কিনে খেতাম। ওটার মজাই আলাদা। বাবা-মা, আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে এক আনা দু আনা ঈদ বোনাস নিয়ে অনেক খুশি হতাম। এখন তো ঈদী দিতে ভালো লাগে। তিনি বলেন, ঈদের সময় আমি সেমাই খেতে খুব পছন্দ করি। মায়ের হাতে রান্নার কোন জুড়ি নেই। এখন তো আর মা নেই। আসলে প্রত্যেকের মা খুব ভালো রান্না করে। আগে ঈদে খেলাধুলা থেকে শুরু করে কত কি না করতো। এখন ছেলেপেলেরা কিসব ডিজে-পার্টি করে আনন্দ পায়। আগে ঈদে ঘুরাফেরাটাও ছিলো আনন্দের অংশ। খোলামেলা জায়গায় ঈদের খেলাধুলার আয়োজন করতাম। তবে এখন ঈদের দিন রাজনৈতিক বন্ধুদের সাথে ঈদে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। দেখা সাক্ষাৎ হলে কোলাকুলি করি। এবারের ফুটবল বিশ্বকাপে জাহাঙ্গীর আলম ব্রাজিলের সমর্থক বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আমার বাড়িতে সবাই আমার ভক্ত। তাই তারাও ব্রাজিলের সমর্থক। যেমনটি আমি আওয়ামীলীগ করি আমার বাড়ির সবাই আওয়ামীলীগের সমর্থক। পরিবার ছেড়ে ঈদ উদযাপনের স্মৃতিচারণ করে জাহাঙ্গীর আলম জানান, যখন ছাত্ররাজনীতি করতাম কারাগারে থাকার দরুণ অনেকবারই পরিবার ছেড়ে ঈদ করতে হয়েছে। ১৯৮১ সালে ঈদ আমি কেন্দ্রীয় কারাগারে করেছি। এছাড়া দেশের বাইরে থাকায় কয়েকবার ঈদ পরিবার ছাড়া করতে হয়েছে। ঈদের পর রাজনৈতিক পরিকল্পনা জানিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সভাপতির সাথে আলোচনা হয়েছে ঈদের পর জেলা কমিটির সভা আয়োজন করা হবে। সেখান থেকে নানা কর্মসূচী নেয়া হবে। এগুলো করতে করতে জাতীয় নির্বাচন চলে আসবে। নেত্রী যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা সেগুলোকে অনুসরন করে কাজ করবো। জাহাঙ্গীর আলম তাঁর বন্ধু-বান্ধব, রাজনৈতিক সহযোদ্ধা, নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ী সকলকে ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

এই বিভাগের আরো খবর