আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা পরিষদের আলোচনা সভা ও র‌্যালী

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : আন্তজার্তিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে মহিলা পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলাবার (১২মার্চ) বিকালে ৫টায় টায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ না.গঞ্জ জেলার কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে মহিলা পরিষদের সামনে থেকে একটি র‌্যালী বের শহর প্রদক্ষিন করেন।

জেলা সভাপতি লক্ষ্মী চক্রবর্তী  সভাপতিত্বে  সমাবেশে সভাপতি লক্ষ্মী চক্রবর্তী, জেলা সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আনজুমান আরা আকসির, সহ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণা ও পাঠাগার সম্পাদক রানী আহমেদ, সহ-সভাপতি অধ্যাপিকা রাশিদা আক্তার সাধারন সম্পাদক এড. হাসিনা পারভীন, সহ সাধারণ সম্পাদক রহিমা খাতুন, অর্থ সম্পাদক রেখ গুন, লিগ্যাল এইড সম্পাদক সাহানারা বেগম বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, ১৯৭৩ সাল থেকে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করছে।“নারী ক্ষমতায়নের লক্ষে চাই সৃজনশীল কর্ম উদ্যোগ ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে এ দিবস পালিত হয়েছে। 

এ আন্তর্জাতিক নারী দিবস, নারীর মানবাধিকার আন্দোলনের এক ঐতিহাসিক  অর্জন। ১৮৫৭ সালে ৮ মার্চ নিউইয়র্কের একটি সুচ কারখানার নারী শ্রমিকরা মজুরি বৈষম্য দূর করা, ভোটাধিকার প্রদান, প্রসূতিকালীন ছুটি ও অমানবিক শ্রমঘন্টা কমিয়ে আনার দাবীতে আন্দোলনকরে । এ আন্দোলন দিন দিন বেগবান হতে থাকে ।

এই প্রেক্ষাপটে ১৮৮৯ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত প্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনে র্জামান নারী ক্লারা জেটকিন পুরুষের পাশাপাশি নারীর সম-অধিকারের দাবী আরো জোরালো করেন। 

১৯১০ সালে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলনের পর থেকে ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে নারীরা আরো ঐক্যবদ্ধ হন এবং ১৯১৪ সালে থেকে বিভিন্ন দেশে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালিত হতে থাকে ।

ঐতিহাসিক সংগ্রামের স্বীকৃতিস্বরুপ জাতিসংঘ ১৯৮৪ সালে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে  ঘোষণা করে এবং ১৯৮৫ সালে থেকে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হচ্ছে।  

নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রয়োজন সম্পদ- সম্পত্তিতে সম অধিকার প্রতিষ্ঠা সিডিও সনদের পূর্ণ অনুমোদন ও বাস্তবায়ন, নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসত দূরীকরণ  ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ২০১৭ বিশেষ বিধান বাতিল করণ, জাতীয় সংসদে সরক্ষিত আসনে সরাসরি নির্বাচন, রাজনৈতিক দলের সকল পর্যায়ে নীতি নির্ধারণে ৩৩ ভাগ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণ নারী নীতির পূর্ণ বাস্তবায়ন-সমাবেশে এসব দাবী দ্রুত কার্যকরের জন্য সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জোর দাবী জানানো হয়।