বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

৪০ বছরের পুরাতন সেতুই যখন দুর্ঘটনার কারণ 

প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০১৯  

সোনারগাঁ (যুগের চিন্তা ২৪) : সোনারগাঁ উপজেলার চেঙ্গাকান্দি এলাকার সেতুটি প্রায় ৪০ বছরের পুরাতন। এ সেতুটি এখন জীর্নশীর্ণ হয়ে ঝূঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে এবং সরু এ সেতু দিয়ে জন সাধারণের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। যানবাহন চলাচলেও সেতুটি দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেতুটির কারণে পথচারিদের প্রায় সময় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামের প্রবেশ মুখে দীর্ঘদিনের পুরাতন, ঝূঁকিপূর্ণ এবং সরু হওয়ায় সেতুটিতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। 

 

এলাকাবাসী জানায়, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি, মৃধাকান্দি  নাগেরগাও ও ছহিস্যা  গ্রামে ঢুকতে সড়কের পাশেই চেঙ্গাকান্দি গ্রামের মাথায় সরু খালের ওপর সেতুটি। তবে সেই খালের এখন আর কোন অস্তিত্ব নেই, দুই পাশ ভরাট হয়ে বাড়ি ঘর নির্মাণ করা হয়ে গেছে। কালের স্বাক্ষী হিসেবে জীর্নশীর্ণ দেহবসাশ নিয়ে পড়ে আছে সেতুটি। একপাশে স-মিলের রাস্তা আর অন্য পাশে সনি এসআর কোম্পানির সীমানা প্রাচীর। যতটুকু নিচু জমি রয়েছে সেটা দেখে বুঝার উপায় নেই যে এখানে কোন কালে খাল বা কোন নদী ছিল। এখানে বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানিও আসে না। আবার সেতুটি এতটাই সরু যে, দুটি রিক্সা একসাথে আসা যাওয়া করতে পারে না। একটি রিক্সা উঠলে আপর প্রান্তে আরেকটি দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এনিয়ে প্রায়ই ঝগড়া মারামারির মতো অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে। কখনো কখনো রিক্সা সাইকেল, মোটর সাইকেল ধাক্কা লেগে পথ চারির শরীরে আঘাত হানে। তখন অন্যরকম অবস্থা হয়ে পড়ে। এছাড়াও সেতুটির রেলিং ভাঙ্গা ও ঝুঁকিপুর্ণ যার কারণে রেলিং ভেঙ্গে যাত্রিসহ রিক্সা পাশের গর্তে পরে যায়। নানা দুর্ঘটনায় পরে স্কুল কলেজ ও সাধারণ যাত্রীদের পরতে হয় বিব্রতকর অবস্থায়।

এলাকাবাসী মনে করছেন, এখন আর সেতুটি এলাকার মানুষের জন্য কোন প্রয়োজন নেই। বরং সেতুটি ভেঙে ভাল করে সড়ক তৈরি করে দিলে নির্বিঘেœ গাড়িসহ সবাই যাতায়াত করতে পারবে।

 

এব্যাপার চেঙ্গাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা নোয়াব প্রধান বলেন, সেতুটি প্রায় চল্লিশ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল মানুষের চলাচলের জন্য। গাড়ি চলাচলের জন্য নয়। এখন এ রাস্তাঘাট উন্নত হয়েছে। সময়ের প্রয়োজনে মানুষ গাড়ি দিয়ে চলাচল করে এ সেতু দিয়ে। দুইটা রিক্সা একসাথে যাতায়াত করতে না। ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ এ সেতুটি ভেঙে তার জায়গায় মাটি ভরাট করে সড়ক করে দেওয়ার বিষয়টি ওয়ার্ড মেম্বার ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে জানিয়েছি বহুবার কোন কাজ হচ্ছে না।

পিরোজপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য নুরুজ্জামান নুরু জানান, আমার পক্ষে একা এ সেতু ভেঙে নতুন রাস্তা করা সম্ভব না। আমি একাধিক বার মাসুদুর রহমান মাসুম চেয়ারম্যানকে এ ব্যাপারে বলেছি তিনি আমার কথায় কোন কাজ করছেন না।

 

এব্যাপারে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান মাসুম এর সাথে ফোনে একাধিকবার ফোনা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
 

এই বিভাগের আরো খবর