শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

৩০০ শয্যা হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী 

প্রকাশিত: ২৬ আগস্ট ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : নগরের ৩০০ শয্যা হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছেই। প্রতিদিনই হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলছে। 


জুলাই মাস থেকে গত শনিবার পর্যন্ত এই হাসপাতালে ১৬৩ জন ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি হওয়া ১৩১ জন রোগী ছুটি নিয়ে চলে গেছেন। ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার্ড ৯জন রোগীকে রেফার্ড করা হয়েছে। এখনো চিকিৎসাধীন আছে ২৩ জন। 


হাসপাতালের ২১,২২,২৩ নং ওয়ার্ডে বিশেষভাবে ডেঙ্গু কর্নার করা হয়েছে। ২১ নং ওয়ার্ডে পুরুষ ডেঙ্গু রোগীদের রাখা হয়েছে। ২২নং ওয়ার্ডে মহিলা ও ২৩ নং ওয়ার্ডে শিশু ডেঙ্গুরোগীদের ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডেঙ্গু কর্নার থাকলেও হাসপাতালের নিচে বেড তৈরী করে রাখা হয়েছে। বেডের অভাবে মাটিতে বিছানা করে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেক রোগী।


হাসপাতালের সূত্রে জানা গেছে, জুলাই মাস থেকে হাসপাতালে ২৬৩ জন ভর্তি করা হয়েছে। ১৩১ জন রোগী ছুটি নিয়ে চলে গেছেন।এখান থেকে ডেঙ্গু সনাক্ত করে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ৯ জনকে রেফার্ড করা হয়েছে। এখনো চিকিৎসাধীন আছে ২৩ জন। 


শনিবারে ১০ জন রোগী ভর্তি করা হয়েছে। বহি.বিভাগে ডাক্তার দেখিয়েছে ৭ জন ডেঙ্গুরোগী। রবিবার (২৫ আগস্ট) বহি.বিভাগে ৫ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। 


হসাপাতালের ২১ নং ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। এই ওয়ার্ডে ১৪ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। মাসদাইরের গাবতলী এলাকার নূর মোহাম্মদ এই ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। ৫-৬ দিন জ্বরে ভুগে পরীক্ষার জানতে পারেন তার ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত। 


৩০০ শয্যা হাসপাতালে তিনি দুইদিন যাবৎ চিকিৎসাধীন আছেন। তার স্ত্রী প্রতিবেদককে জানান, ডাক্তার বলছে রক্তে প্লাটিলেট কমে ৪০ হাজার হয়েছে। অবস্থা বেশি ভালো না তার। ভয় লাগতাছে অনেক। মশারির থেকে বাহির করতাছি না। মশারির ভিতরেই আছি। 


ফতুল্লার লালখা এলাকার বাসন্দিা পিকলু ৬ দিন যাবৎ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি আছে। হাসপাতালে ভর্তির সময়ে রক্তে ৮৫ হাজার প্লাটিলেট ছিল। ৮৫ হাজার প্লাটিলেট থেকে এখন ১ লক্ষ ৪০ হাজার প্লাটিলেট হয়েছে। 


তার স্ত্রী জানান, ৬ দিন যাবৎ প্রতিদিন টেস্ট করতেছি। প্রথম  তিন দিন বাহিরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে টেস্ট করতে হইছে। এরপরের ৩ দিন হাসপাতালে ফ্রি টেস্ট করছি। 


হাসপাতালের ২২ নং ওয়ার্ডের নার্সের ইনচার্জ নুর্মলা বলেন, প্রতিদিনই নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছে। এখনো এই ওয়ার্ডে ৭ জন রোগী ভর্তি আছে। 


হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসকের সাথে কথা বললে তারা বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। প্রতিদিনই রোগী বহি.বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে। আর যাদের ভর্তি করা প্রয়োজন তাদেরকে ভর্তি করা হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ রোগীরাই সকালে মশারির মধ্যে থাকতে চায় নাহ। তারা রাতে মশারি টানায়। 


তাদেরকে বারবার এই বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে। কারণ রোগীকে কোন মশা কামড় দিলে সেই মশাও ডেঙ্গু রোগের জীবাণু বহন করে। মশাটি অন্য একজন সুস্থ মানুষকে কামড় দিলে তিনি ও ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হবেন।

 

এই জন্য ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা দিয়েছে। বিশেষ করে রোগীর আশেপাশের মানুষেরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। 
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু জাহের বলেন, প্রতিদিনই রোগী ভর্তি হচ্ছে। রোগীও বাড়ছে। তবে আমরা হাসপাতালে প্রতিদিনই আমদের সাধ্যমত সেবা দিয়ে যাচ্ছি। 
 

এই বিভাগের আরো খবর