মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০

৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ধারবাহিক চুরি : নিশ্চুপ কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত: ১৭ আগস্ট ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার ( যুগের চিন্তা ২৪) : নগরীর খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ধারাবাহিক ভাবে চুরির ঘটনা ঘটছে। হাসপাতালে দালালদের খপ্পরে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় রোগীরা।

 

তার সাথে যুক্ত হয়েছে এই নতুন সমস্যা। একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটেই চলছে। তবে এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। 


হাসপাতালে আগত রোগীদের সাথে আসা স্বজনরা জানান, হাসপাতালে আসার পর থেকে চুরি ঘটনা শুনতে পাচ্ছি। রোগী নিয়ে এক ধরনের মানসিক চাপে থাকি তার ওপর প্রতিদিন চুরি ঘটনা শুনার পর অনিরাপত্তার মধ্যে আছি মনে হচ্ছে।  


বেশীর ভাগ এই চুরির শিকার হচ্ছেন নি¤œবিত্ত পরিবারের মানুষ। তারা জানেই না কিভাবে পুলিশের সহযোগিতা নিতে হয়। ঝামেলা হবে বলে অনেকে পুলিশের কাছে যেতে আগ্রহী নন। তবে এই বিষয়ে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ তেমন কোন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে তারা অভিযোগ করেছেন। 


শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে হাসপাতালের ২য় তলার শিশু বিভাগে জানালার দিয়ে কয়েকজন রোগীদের সাথে আসা স্বজনদের টাকা ও মুঠোফোনের চুরি ঘটনা ঘটে। 


জ্বরে অসুস্থ সোনালীর মা নাসিমা বেগম বলেন, ১১ আগস্ট আমার মেয়ে অসুস্থ্য হলে তাকে নিয়ে হাসপাতালে আসছি। সেদিন রাতেই আমার ৫ হাজার টাকা চুরি হয়েছে।


মদন পুর লালখা বাগ প্রবাসী সফিকুল ইসলাম স্ত্রী সোনিয়া বলেন, আমার মেয়ে সুমাইয়া টাইফয়েড রোগী। ওরে হাসপাতালে ১০ আগস্ট ভর্তি করছি। আর ১১ আগস্ট আমার মোবাইল চুরি হয়ে গেছে। আবার মোবাইল চুরির ৪দিন পরে  ১৬ আগস্ট ৭ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। 


মাসের এই সময় হাতে টাকা ছিল না। চিকিৎসার জন্য সুদে টাকা এনেছিলাম কিন্তু সেই টাকাও চুরি হয়ে গেছে। 
মো মাসুম এর  স্ত্রী লিপি জানান তার ২ মাস বয়সী সন্তান সিয়াম ঠান্ডা, কাশির কারণে ১১ আগস্ট তারিখে ভর্তি করেছেন। তারও  ৫ হাজার টাকা চুরি হয়েছে।


আরেকজন ভুক্তভোগী নাদিয়া জানান ১৪ আগষ্ট তার মুঠোফোন চুরি হয়েছে। তিনি বলেন, আমি আসার আগেও এখানে এমন ঘটনা কয়েকবার হয়েছে শুনেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত চুরি ঘটনায় প্রশাসনিক ভাবে কোন ব্যবস্থা নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।


এসময় অভিযোগকারীরা আরো জানান, এই ঘটনার সাথে হাসপাতালে লোকেরা জড়িত থাকতে পারে, আমরা হাসপাতাল কতৃপক্ষকে সিসিটিভির মাধ্যমে খুঁজে বের করতে বললে তাদের সিসিটিভি কাজ করেনা বলে জানান।


এই বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবু জাহের জানান, শিল্প কলকারখানার নিরাপত্তার জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ রয়েছে ঠিক তেমনি আমাদের হাসপাতালের জন্য আলাদা পুলিশ প্রয়োজন।


হাসপাতালে অনেক মানুষের আনাগনা হয়। আমাদের ৫ জন  নিরাপত্তা রক্ষী আছে যা চাহিদা তুলনায় খুব কম। আমাদের যদি অস্ত্রসহ ৩০জন আনসার থাকতো তাহলে এই ধরনের অপরাধ জনিত ঘটনা রোধ করা সম্ভব হতো। 


এই চুরির ঘটনার কারণে গতকাল রাতে যারা দায়িত্বে ছিলো তাদের কে  নোটিশ  করা হবে এই ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য। প্রয়োজনে আমারা আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
 

এই বিভাগের আরো খবর