বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

১৫ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জোর করে প্রত্যাহার করানো হয়েছে : সাখাওয়াত

প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২০  

যুগের চিন্তা রিপোর্ট : মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ বারের সাবেক সভাপতি এড.সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, সংবিধান খুলে দেখবেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হলে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হয়। অথচ মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে আরেকটি প্যানেলের যে ১৫ প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে তাদের কেউ ওইদিন নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত ছিলোনা।

 

এক সিনিয়র সদস্য জোর জবরদস্তি করে তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করিয়েছে। তবে যাই হোক আইনজীবী সমিতিকে কুক্ষিগত হতে সাধারণ আইনজীবীরা দেবেনা। ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন চোর ভোট ছিনিয়ে নিতে পারবেনা। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে বিএনপিপন্থী প্যানেলের প্রচারণা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।  


সাখাওয়াত আরো বলেন, রক্তচক্ষু নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনেও পড়েছে। বিনা ভোটে জোর জবরদস্তির মাধ্যমে আইনজীবী সমিতিকে তারা কুক্ষিগত করতে চায়। এর অংশ হিসেবে এজিএমে যাদের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নেয়া হয়েছে তাদের ৯০ ভাগ আইনজীবীই মেনে নেয়নি।

 

অর্থব ও অযোগ্য, দলকানা আজ্ঞাবহ পিপি, জিপির সমন্বয়ে যে নির্বাচন কমিশনার গঠন করা হয়েছে এরআগেও তাদের দিয়ে কোন সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। এই নির্বাচনও সুষ্ঠু হবেনা। তাই নব্বই ভাগ আইনজীবী এদের বাদ দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে বলা হয়েছিল। 


সাখাওয়াত অভিযোগ করে বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষ প্যানেলের নির্বাচনী প্রচারণায় বেশিরভাগ সময়ই বহিরাগতদের অংশ নিতে দেখা যায়। বাইরের লোকজনকে কালো কোর্ট পড়িয়ে আইনজীবী সমিতিকে কুক্ষিগত করার জন্য আদালতে নিয়ে আসা হচ্ছে, এই কাজকে ধিক্কার জানাই আমরা। 


জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেলের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এড.তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, এই সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। পোষ্য নির্বাচন কমিশনার গঠন করা এই সরকারের কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু জাতীয় নয়, বার, বাজার, স্কুল কমিটির নির্বাচনেও একই নিয়ম। সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারলে জিততে পারবেনা বলে তারা কারচুপির আশ্রয় নেয়। নিরাপত্তাহীনতায় কোন প্রার্থী ভুগলেই আমাকে জানালে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।  

 


এরআগে জাতীয়তাবাদী ঐক্য আইনজীবী পরিষদ প্যানেলের ১৭ প্রার্থীকে নিয়ে মিছিল নিয়ে প্রচারণায় নামে বিএনপি নেতারা। আদালপাড়ায় বেশ কয়েকবার প্রদক্ষিণ করে তারা আইনজীবীদের কাছে ভোট চান। এ সময় এড.বারী ভূঁইয়া, এড.আব্দুল হামিদ খান ভাষানী, এড.মশিউর রহমান শাহিন, এড.আজিজ আল মামুন, এড.আবু আল ইউসুফ খান টিপু, এড.আনোয়ার প্রধান, এড.শরীফুল ইসলাম শিপলু,জাতীয়তাবাদী ঐক্য পরিষদ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী এড.সরকার হুমায়ূন কবির, সেক্রেটারি প্রার্থী এড.আবুল কালাম আজাদ জাকিরসহ ১৭ প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন।  

 


প্রসঙ্গত, ২৯ জানুয়ারি নবনির্মিত বার ভবনের নিচতলায় আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মোট ভোটার ৯২২ জন। 
 

এই বিভাগের আরো খবর