শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

হাসির রাজা চিন্ময় রায় না ফেরার দেশে

প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০১৯  

বিনোদন রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : কখনও ভাবেননি অভিনয় জগতে পা রাখবেন চিন্ময় রায় । ঘনিষ্ঠ মহলে এমনটাই ঠিক বলেছিলেন তিনি। তবে ম্যাট্রিকে থার্ড ডিভিশনে পাশ করা সেই আপাতনিরীহ চেহারার মানুষটিই কখন যেন বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম সারির কমেডিয়ান হয়ে উঠলেন। 


রবিবার (১৭ মার্চ) রাত ১০টা ১০ মিনিট নাগাদ করকাতার সল্টলেকে নিজের ফ্ল্যাটে ৭৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান এই অভিনেতা। আজ সোমবার (১৮ মার্চ) তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার।


তাঁর পরিবার সূত্রে আরও জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন চিন্ময় রায়। বছরখানেক আগে নিজের ফ্ল্যাটের নীচ থেকে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সে সময়ই তাঁর মাথা, হাত ও পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। তার পর থেকেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে বার্ধক্যজনিত কারণেও ভুগছিলেন তিনি। 


১৯৪০ সালের ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশের কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন চিন্ময় রায় । রূপালি পর্দায় কমেডিয়ান হিসেবে জনপ্রিয় হলেও অভিনয় জগতে চিন্ময় রায়ে শুরুটা হয়েছিল থিয়েটারের মঞ্চে। নান্দীকারের মতো গ্রুপ থিয়েটারের দলে। তবে এক সময় সে দলও ছেড়ে দেন তিনি। ‘সেটাই ছিল আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট’ দল ছাড়ার পরে কোন এক সময়ে বলছিলেন চিন্ময় রায় ।


এর পর অভিনয় শুরু রূপালি পর্দায়। প্রথম ছবি ‘গল্প হলেও সত্যি’। তপন সিংহের পরিচালনায় প্রথম ছবিতেই নজর কাড়লেন। এর পর আর থেমে থাকেননি। ‘বসন্ত বিলাপ’, ‘গুপী গাইন বাঘা বাইন’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘ধন্যি মেয়ে’, ‘চারমূর্তি’,‘মৌচাক ’,‘হাটে বাজারে’, ‘ঠগিণী’,‘ফুলেশ্বরী’, ‘সূবর্ণ গোলক’, ‘ওগো বধূ সুন্দরী’— একের পর ছবিতে তিনি মাতিয়েছেন দর্শককে।


তথাকথিত সাদামাটা চেহারা সত্ত্বেও নিজের অভিনয় প্রতিভায় রূপালি পর্দায় নায়কদের পাশে রীতিমতো নজর কেড়েছেন। নবদ্বীপ হালদার, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় বা তুলসী চক্রবর্তীর মতো কিংবদন্তি অভিনেতাদের পর বাংলা ছবিতে কমেডিয়ানের ভূমিকায় রবি ঘোষ বা অনুপকুমারের সঙ্গে পাল্লাও দিয়েছেন সমানে সমানে। তাঁর প্রয়াণে কলকাতার বাংলা চলচ্চিত্রের এক অধ্যায়ের যেন সমাপ্তি ঘটল। তথ্য সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

এই বিভাগের আরো খবর