বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

হারিয়ে গেছেন আজাদ বিশ্বাস

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১২ মে ২০২০  

চলছে ভয়াবহ করোনা সংকট। ঘরে ঘরে চাপা হাহাকার। অনেক মানুষ বেকার ও গৃহবন্দী। সদর উপজেলাবাসীর চরম দুর্দিন। এই দুর্র্দিনে উপজেলাবাসীর পাশে নেই উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস। যাকে কেউ বিশ্বাস করেন না। সেই ২০০৯ সালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

 

এরপর এই  উপজেলায় নির্বাচন না হওয়ার ব্যাপারে পিছন দিক থেকে একটি বলয় কাজ করছে। দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচন নেই   উপজেলা পরিষদে। ২০০৯ সালে বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস উপজেলা পরিষদের  চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। এরপর আর নির্বাচন নেই। কারো কারো মতে সাংসদ শামীম ওসমান চাইলেই এই উপজেলায় নির্বাচন এতোদিনে হয়ে যেতো। কিন্তু তিনি আন্তরিক নন তাই নির্বাচন হয়না।

 

এমন কথা উপজেলাব্যাপী লোকজনের মুখে চাউর  রয়েছে।  নির্বাচন না হওয়ায় হাজারো অভিযোগের পরও আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস,ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আহমে¥দ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির আছেন বহাল তবিয়তে।

 

উপজেলা প্রশাসনে আজাদ বিশ্বাসসহ  অন্যরা করোনা পরিস্থিতিতে জনগনের জন্য কি কাজ করছেন তার কোন হিসেব নেই বা জানে না জনহন। জনগনকে সহযোগীতায় বিশেষ করে আজাদ বিশ্বাস কোন কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন বলেও কেউ জানে না। 


আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাসকে অনেকটা বিশ্বাস করেই নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার জনগন ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই বিশ্বাস তিনি রাখতে পারেননি। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের তোষামোদী করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে বিস্তর।

 

এ কারণে বিএনপি নেতাদের কাছে তিনি অবিশ্বাস অর্জন করেছেন অনেক আগেই। হয়েছেন দল থেকে বহিস্তকাও। উপজেলা পরিষদের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে আদালতে আজাদ বিশ্বাস তার আস্থাভাজন ৩ জনকে  দিয়ে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। আর ঐ মামলার ভোগান্তিতে রয়েছেন সদর উপজেলার  ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ।

 

বিভিন্ন ইস্যুতে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে মাঠে দেখা গেলেও  বরাবরের মতোই নিখোঁজ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকেই। করোনা পরিস্থিতি ইউএনও নাহিদা বারিক ছিলেন মাঠে। কিন্তু চেয়ারম্যান আজাদ বিশ্বাসকে কোথাও দেখা যায়নি।   


ফতুল্লা অঞ্চলের মানুষের অভিযোগ,উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান হওয়ার পর আজাদ বিশ্বাস জনগনের কাছাকাছি যেতে পারেনি। কবে যে আজাদ বিশ্বাস জনগনের কাছ থেকে হারিয়ে গেছে তাও মনে নেই অনেকের। আদৌ নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় জনগনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আছে কিনা এ নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন।

 

করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর থেকে বিভিন্ন এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের  জন সেবার মাঠে নামতে দেখা গেলেও আজাদ বিশ্বাসকে তেমন দেখা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পাশে থেকে কাজ করেছেন এমন চিত্রও দেখা যায়নি কোথাও।


আজাদ বিশ্বাস প্রসঙ্গে ফতুল্লা থানা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এই আজাদ বিশ্বাস অনেকটা ভাগ্য গুনে ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতা হয়েছিলেন। কিন্তু তার মধ্যে মানুষের সাথে মিশে কাজ করার ক্ষমতা নেই। তবে তার মধ্যে তেলবাজী থাকে সব সময়।

 

করোনা পরিস্থিতিতে তিনি মাঠে থাকলে অন্তত জনগন তাঁর প্রতি সম্মান বাড়তো। কিন্তু তিনি তা করেনি। তার  পক্ষ থেকে কাউকে মাঠে নামতেও দেখা যায়নি।


এব্যাপারে আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাসের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁর মুঠো ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।       
 

এই বিভাগের আরো খবর