শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

হাজী উজির আলী স্কুলে সংখ্যালঘু-প্রতিবন্ধিদের উপবৃত্তি টাকা প্রদান

প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : দেওভোগ হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু (হিন্দু) তফসিল ও প্রতিবন্ধিদের উপবৃত্তি টাকা প্রদান করা হয়েছে। ২০১৮-১৯ সালের অর্থ বছরের নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদলের হাত থেকে সংখ্যালঘু ও প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাপ্য অর্থ বুজে নেয়। রোববার দুপুরে দেওভোগ হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি টাকা প্রদান করা হয়। 
 
এদিকে স্কুলের সংখ্যালঘু (হিন্দু) তফসিল ও প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীরা নগদ টাকা পেয়ে খুব আনন্দিত এবং উল্লাসীত। প্রতিটি সংখ্যালঘু (হিন্দু) শিক্ষার্থীকে ১৮’শ টাকা করে উপবৃত্তির টাকা প্রদান করা হয়। 
 
শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি টাকা প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আশরাফুল আলম, এম এ সাত্তার, বিশ্বাস লুৎফর রহমান, সরদার সালাউদ্দিন, আবুল কালাম, নাগিনা, স্কুলের প্রধান শিক্ষক হুমায়ন কবির রতনসহ স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ। 
 
এসময় স্কুলের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল বলেন, বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষার মান উন্নত করার লক্ষ্যে শিক্ষকদের যেমন বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে। তেমনি শিক্ষার মান শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির চালু করেছে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু (হিন্দু) তফসিল ও প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দিচ্ছে। 

সরকার যেমন শিক্ষার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন তেমনি আমাদের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের উচিৎ শিক্ষার্থীদের ভাল ভাবে শিক্ষা দেয়া। শিক্ষক হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের মেধা দিয়ে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা দেয়া উচিৎ। আর শিক্ষার্থীরা দেশের উজ্জল ভবিষ্যত। তারা ভাল ভাবে লেখাপড়া করে দেশ ও জাতির মুখ উজ্জল করবে সেই প্রত্যাশা করছি। 
 
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা ভাল ভাবে লেখাপড়া করে ভাল ফলাফল অর্জন করলে যেমন স্কুলের সুনাম হয় তেমনি শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদেরও মুখ উজ্জল করে। তাই প্রতিটি শিক্ষার্থীরা বাজে কোন চিন্তা ভাবনা না করে ভাল ভাবে লেখাপড়া করে নিজের ভবিষ্যত গড়বে এবং বাবা মায়ের মুখ উজ্জল করবে। 

সকল কিছুর ভাগ নেয়া যায় কোন শিক্ষার্থীর শিক্ষার ভাগ কেউ নিতে পারবে না। সেটা শুধু তার নিজের একক সম্পদ। এখানে কারো ভাগ নাই। সেই চিন্তা করে আগামীর প্রজম্মের শিক্ষার্থীদের উচিৎ তাদের সম্পদের পরিমান তারাই বাড়াবে সেই প্রত্যাশা রইল।           

এই বিভাগের আরো খবর