বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রাপ্ত মন্ত্রী গাজীকে আনোয়ার-দিপুর অভিনন্দন

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

যুগের চিন্তা রিপোর্ট : জাতীয় পর্যায়ের গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০২০ সালের দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ পাচ্ছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী  গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক)। ২০ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে স্বাধীনতা পুরস্কারের মনোনিত ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জবাসী আনন্দে ফেটে পরে। 

 

ভাষা সৈনিক একেএম শামসুজ্জোহার (মরোণত্তর) পর নারায়ণগঞ্জের দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে এবার এই স্বীকৃতি পাচ্ছেন গোলাম দস্তগীর গাজী। আগামী ২৫ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতা পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেবেন।

 

স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনিত হওয়ায় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সাংসদকে  গোলাম দস্তগীর গাজীকে অভিনন্দন জানাতে ছুটে যান মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড.আনিসুর রহমান দিপু, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাতসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।  

স্বাধীনতা পুরস্কার গোলাম দস্তগীর গাজী ছাড়াও আর যারা পাচ্ছেন, ফেরদৌসী মজুমদার, মরহুম কমান্ডার (অব.) আবদুর রউফ, মরহুম মুহম্মদ আনোয়ার পাশা, আজিজুর রহমান, অধ্যাপক ডা.  মো.উবায়দুল কবীর চৌধুরী, অধ্যাপক ডা.এ কে এম এ মুক্তাদির, মুক্তিযোদ্ধা এস এম রইজ উদ্দিন আহম্মদ এবং কালীপদ দাস।

 

গোলাম দস্তগীর গাজী নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে টানা তিনবার আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমান সরকারে তিনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

 

মুক্তিযুদ্ধে অসীম সাহসিকতাপূর্ণ অবদান রাখায় গাজীকে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়। সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে ভূমিকা রাখার জন্য তাকে ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক মাদার তেরেসা পদকে ভূষিত করা হয়। ১৯৪৮ সালে ১৪ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন গোলাম দস্তগীর গাজী। তার বাবার নাম গোলাম কিবরিয়া গাজী এবং মায়ের নাম সামসুননেছা বেগম। গোলাম দস্তগীর পড়াশোনা শুরু করেন পুরান ঢাকার বিদ্যাপীঠে। মাধ্যমিক পাশ করার পর ভর্তি হন নটরডেম কলেজে। ১৯৭১ সালে গোলাম দস্তগীর গাজী ছাত্র থাকাকালীন সময়ে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের ২নং সেক্টরে বিভিন্ন সম্মুখ যুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন।

 

তিনি ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন এবং ঢাকার কয়েকটি সফল অপারেশনে অংশ নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন গ্যানিজ ও দাউদ  পেট্রল পাম্পের অপারেশনে গোলাম দস্তগীর গাজীর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।

সরকারের এ নির্দেশনাবলী অনুযায়ী, স্বাধীনতা পুরস্কারের ৫ লাখ টাকা পাবেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পাবেন ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র।
 

এই বিভাগের আরো খবর