স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় ১ দিনের রিমান্ড

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায়  রাজা মিয়া (৫৫) নামে একজনকে জনকে ১ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

সোমবার (৫ আগস্ট) সকালে আসামির ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করে পুলিশ। পরে শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নœাহার ইয়াসমিনের আদালত এ ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলা নং - ২ (৮)১৯।

প্রসঙ্গত, মিথ্যা অপবাধ দেওয়ায় রুমানা আক্তার (১৫) নামে লক্ষীনারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রী আত্মহত্যা করে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সকাল ১১ টায় নাসিক ১০ নং ওয়ার্ডের পাঠানটুলী রাজা মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত রুমানা রংপুর জেলার সাতরাস্তার মোড় এলাকার মোনতাজ মিয়ার মেয়ে। সে তার বোন আমেনের সাথে ওই বাড়িতে বসবাস করতো। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। 

মামলার এজাহারে জানা যায়, মা নীট কনসার্ন এর চাকুরিজীবি, বাবা এসিআই ঔষধ কোম্পানির লোডারের সরদারের কাজ করে। তারা আসামি রাজা মিয়ার বাড়িতে বিগত চার বছর যাবৎ ভাড়া থাকেন। ৩১ জুলাই আসামি রাজা মিয়া মামলার বাদিনীর ছোট মেয়ে রুমানা আক্তারকে মারধর করতে থাকে।

রুমানার মা তার মেয়েকে মারধরের কারণ জিঙ্গেস করলে বলে যে তোর মেয়ে খারাপ, তোর মেয়ে আমার ছেলে সিয়ামকে ঘরে ডেকে নিয়ে গেছে। এজাহারে উল্লেখিত ২ নং  পলাতক আসামি সাইদ (২৫) বাদিনীর বড় মেয়েকে গালিগালাজ করে ও রুমানাকে চড় থাপ্পড় মারে।

পরবর্তীতে, ১ আগস্ট সকালে আসামিদের অত্যাচার, নির্যাতন ও মিথ্যা অভিযোগ সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

নিহতের বোন আমেনার আভিযোগ, রাজা মিয়ার আমার বোন নিহত রুমানেকে মিথ্যা অপবাধ দিয়ে বুধবার দুপুরের চর মারে। আমার বাবা কাছে ফোন করে রুমানার সর্ম্পকে বাজে মন্তব্য করে। এ অভিমানে নিজ ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে ওরনা দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। রাজা মিয়া আমার নিষ্পাপ বোনকে অপবাধ দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বুধবার রাজা মিয়ার ছেলে সিয়াম ঘরের সামনে এসে পানি চায়। এসময় রুমানা পানি দেয়। পরে রাজা মিয়া সিয়াম ও রুমনাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করে। 

এদিকে বাড়ির মালিক রাজা মিয়া উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, তার ছেলে সিয়াম মাত্র ১৫ বছর। বুধবার রুমানাদের ঘরে কয়েকঘন্টা ছিলো দরজা বন্ধ করে। এ বিষটি বাড়ির লোকজন ও বাড়িতে কাজ করা লেবারা বলেছে। এ ঘটনায় আমি ছেলেকে মারধর করেছি। মেয়েকে বকাজকা করেছি। তাদের মধ্যে কিছু হয়েছে কিনা আমি বলতে পারবোনা। 

তিনি আরও বলেন, রাতে মেয়ের বাবাকে এ ঘটনা বলেছি। তাছাড়া তাদের ৪ মাস আগে বাসা ছেড়ে দিতে বলেছি কিন্তু তারা যাননি। সকালে তাদের ৩ বোনকে ঘরে বসে কথা বলতে দেখেছি।