শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘সোমেন চন্দ ও তাঁর সাহিত্য’ উপস্থাপন

প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : ‘বধ্যভূমির পাথর ফুঁড়েই উঠবে জেগে লক্ষ প্রাণ’ স্লোগানে উন্মেষ সাংস্কৃতিক সাংসদের ৩০ বছর পূর্তি উৎসবের ধারাবাহিক আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট এর দ্বিবার্ষিক ২০১৯-২০২০ কর্মসূচির অন্যতম সেমিনার ‘সোমেন চন্দ ও তাঁর সাহিত্য’ উপস্থাপন হয়। সেমিনারে প্রবন্ধ পাঠ করেন শুভ ভৌমিক। 


শনিবার (১৪ মার্চ) বিকালে আলী আহাম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তন ও পাঠাগারের  এক্সপেরিমেন্টাল হল রুমে এই সেমিনারের আয়োজন  করা হয়। 


উন্মেষ সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি প্রদীপ ঘোষ বাবুর সভাপতিত্বে যুগ্ম সদস্য সচিব রাজিক খানের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য রাখেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি, সমমনা’র সভাপতি দুলাল সাহা, সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল এবং বাসদের জেলা সমন্বয়ক নিখিল দাস। 


রফিউর রাবি বলেন, প্রকৃত অর্থে আমাদের দেশে সোমেন চন্দ্রকে অবহেলা করা হয়েছে। তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয়েছে। এর একটি মাত্র কারণ আমাদের দেশে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি রয়েছে। সেই রাজনীতির বিরুদ্ধে শক্তপোক্তভাবে  সোমেন চন্দ্রের অবস্থান রয়েছে। যার ফলে আমাদের দেশে জাতীয়তাবাদী যে কয়জন লেখক বুদ্ধিজীবি আছেন তারা সোমেনকে সামনে নিয়ে আসতে কুন্ঠিত ছিলেন।

 

আজকেএই শতবর্ষের আয়োজনের মধ্যে যথাযথভাবে  এবং সামনে আরও উপলদ্ধি করতে পারবো তাকে সামনে আনতে। যখনই সোমেনের লেখাগুলো পাঠ করতে পারবো, আশা করবো; অল্প পরিসরে হলেও এখান থেকে প্রতিজ্ঞা করবো সোমেনের লেখাগুলো পাঠ করবো, তাকে জানবো।


সমমনা সভাপতি দুলাল সাহা বলেন, সোমেন চন্দ্র তার ছোট গল্পে তিনি লিখেছিলেন, এটা কেউ বয়ান বলতে পারেন বা এটাকে কেউ প্রতিবাদও বলতে পারে। ৬০০ থেকে ৭০০শব্দে সেখানে সমাজের বাস্তব চিত্র তিনি তুলে ধরেছেন। আজকে  আমরা যখন দেখি একটা শোক সভা সেখানে প্রধান অতিথিকে মাইলো দান করা।

 

একটা শোক সভায় হলটাকে সুন্দর করে সাজানো। ধুতি-কুচি দিয়ে খুব দামি সুগন্ধি দিয়ে সেই শোক সভায় আসা। এদেরকে বলতে তিনি চেয়েছিলেন জাতীয়তাবাদী মানে ভবিষ্যতের শোসক শ্রেণি। আমরা এই জায়গা থেকে মুক্ত হতে পারবো তখনই। সোমেন চন্দ্রের মত কথায় ও তার সাহিত্যের মধ্য দিয়ে এবং তার আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে।  


সাংস্কৃতিক জোটের সহ সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল, সোমেন চন্দ্র আমাদের কাছে তখনই স্বার্থক হয়ে উঠবে যখন আমরা তার লেখাগুলো পড়ে  আমাদের হৃদয়ের মধ্যে, চিন্তার মধ্যে পরিচালনা করতে পারি কিংবা প্রতিফলন করতে পারি।

 

এবং এই লেখা গুলো আমাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্যে এনে তার লেখাগুলো চর্চা করতেপারতাম তাহলে তাহলে তার লেখারগুলোর মধ্য দিয়ে আমরা অনেকে তার সাথে পরিচিত হতে পারতাম। যা একটি ভালো কাজের অংশ এবং সোমেনকে জানার সুযোগ। 


এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিপিবি জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, উন্মেষ সাংস্কৃতিক সংসদ সদস্য সচিব রাকিবুল হাসান জেমস এবং মর্গ্যান স্কুলের প্রধান শিক্ষক অশোক তরু। 

এই বিভাগের আরো খবর