বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সোনারগাঁয়ে ইকোনমিক জোন এলাকায় ছিনতাইকারীরা সক্রিয়

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০১৯  

সোনারগাঁ (যুগের চিন্তা ২৪) : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের টিপরদী চৈতী কম্পোজিট ও মেঘনা ইকোনমিক জোন এলাকায় ছিনতাইকারী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। 

ছিনতাইকারীরা চৈতী কম্পোজিট, ইকোনমিক জোনসহ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, শ্রমিক ও কর্মচারীদের টাকা-পয়সা, মোবাইল সেট ও মূল্যবান মালপত্র লুট করে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত তিন মাসে এ এলাকায় অর্ধশতাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও পুলিশী ঝামেলা এড়াতে তেমন কেউ অভিযোগ করে নি। 

ছিনতাইয়ের ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মাত্র ৬টি অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের পরও সোনারগাঁ থানা পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে ভোক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। পুলিশ ব্যবস্থা না নেওয়ায় গার্মেন্ট কর্মকর্তা ও শ্রমিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। 

জানা যায়, উপজেলার টিপরদী এলাকায় চৈতী কম্পোজিট, শোভন ওভন ব্যাগ, ক্যানটাকি, ইউসান, কনকা ইলেকট্রনিকস, এনবাল্ক, মেঘনা ইকোনমিক জোন ও এসিআই ঔষধ কারখানাসহ ১০-১২টি শিল্প-প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক কাজ করে রপ্তানিকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান চৈতী কম্পোজিটে লিমিটেডে।

অভিযোগ উঠেছে, এসব শিল্প-প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শ্রমিক ও কর্মচারীদের বেতন দেয়ার দিন ও বিভিন্ন সময়ে টার্গেট করে রাতের আধারে বাড়ি ফেরার পথে ছিনতাই করে টাকা পয়সা ও মোবাইলসেটসহ মূল্যবান মালপত্র লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাদের হামলা ও হত্যার হুমকি দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। 

শ্রমিকদের অভিযোগ, টিপুরদী এলাকায় ১০-১২টি শিল্প কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় মাসের বিভিন্ন সময়ে বেতন দিয়ে থাকে। বেতন নিয়ে বাসায় ফেরার পথে ৪-৫জনের ছিনতাইকারী দল গতিরোধ করে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। এ বিষয়ে প্রশাসনের দু-দৃষ্টি কামনা করছি। এ এলাকায় শিল্প পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার কামনা করি।

চৈতি কম্পোজিটের ডিজিএম এডমিন বদরুল ইসলাম খাঁন জানান, গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কারখানা থেকে বাসায় ফেরার পথে মধুমতি ফিলিং স্টেশনের সামনে ৪-৫জনের একটি দল ধারালো অস্ত্র ঠেঁকিয়ে আমার কাছ থেকে নগদ ১৯ হাজার টাকা ও মোবাইল সেট নিয়ে যায়। থানায় অভিযোগ করার পরও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমার গার্মেন্ট শ্রমিকরাও বিভিন্ন সময়ে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারায়। 

ক্যানটাকি গার্মেন্টের শ্রমিক অহিদুর রহমান বলেন, বেতন পেয়ে বাসায় ফেরার পথে পুরান টিপুরদী ব্রীজের উপর থেকে আমার ১২ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। 

মেঘনা ইকোনমিক জোনের মেঘনা ক্যাবলের শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কের পুরান টিপুরদী এলাকায় বিভিন্ন সময়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। আমার ও বন্ধু রাসেল মিয়ার কাছ থেকে ৪ হাজার ৭ শ টাকা ছিনতাইকারীরা ছুরি ধরে ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। এ এলাকায় সন্ধ্যা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত পুলিশের টহল জোরদার করা দরকার। 

সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্নভাবে ঘটে থাকে। কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ওই এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইতিমধ্যে দুটি মামলা নেওয়া হয়েছে। ছিনতাই প্রতিরোধে ওই এলাকায় টহল জোরদার করা হবে। 
 

এই বিভাগের আরো খবর