বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সেলিম ওসমান : মুক্তিযোদ্ধা বলতেই খালেদ হায়দার খান কাজল অন্ধ

প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের এক অনুষ্ঠানে  নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান বলেছেন, ‘আজকে আপনাদের সামনে দুজন অতিথি নিয়ে আসছি। একজন হলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল। ওনার কেনো দল নাই। ওনার কোনো জাত নাই। উনি সবার সাথে আছেন। মানুষের উপকার করতে ভালোবাসেন। ওনার বাবার সাথে উনি জীবনের যতটা সময় কাটিয়েছেন তার চেয়ে বেশি জীবন কাটিয়েছেন আমার সাথে। আর মুক্তিযোদ্ধা বলতেই উনি অন্ধ। তাকে যে নির্দেশনা দেয়া হয় এর প্রত্যেকটা অনুষ্ঠান তিনি করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রজন্ম আছে। তাদের ছেলে-মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করতে যেনো কোনো ধরনের সমস্যা না হয় । আমরা সে ব্যবস্থা করবো। আমরাই কররো আমরাই পারবো। আমরা সম্মিলিতভাবে এটা করবো।’

 

 বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে তিনি এসব কথা বলেন। 

 

এদিকে সাংসদের এমন বক্তব্যে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জেলা আওয়ামীলী লীগের সহসভাপতি ও জেলা যুবলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির। তিনি বলেন, শান্তিকমিটির নেতার ছেলে যদি মুক্তিযোদ্ধা বলতেই অন্ধ হন তাহলে এটি খুবই ভাববার বিষয়। মুক্তিযোদ্ধাদের ভালো মন্দ বুঝতে যদি শান্তিকমিটির নেতার ছেলের উপর দায়িত্ব দেয়া হয় এটি দুর্ভাগ্য ছাড়া অন্য কিছু নয়। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। সাংসদের এসব বিষয় অজনা থাকাবার কথা নয়। একে তো শোক দিবস, দ্বিতীয়ত মুক্তিযোদ্ধাদের অনুষ্ঠান। খুবই লজ্জাজনক। স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরাই জাতির পিতাকে হত্যার কলকাঠি নেড়েছিলো। ওইসব অপশক্তি নানা জনের দ্বারাই পুনর্বাসিত হয়। তীব্র ঘৃণা ও নিন্দা জানাই।  

 

জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক লেখক মুনতাসীর মামুন এর ‘শান্তিকমিটি ১৯৭১’ নামক বইয়ের ২২৫নং পৃষ্ঠায় নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজলের বাবা গোলাম রব্বানীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে উল্লেখ আছে গোলাম রব্বানী মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে চাষাঢ়া ইউনিয়ন শান্তিকমিটির অন্যতম নেতা ছিলেন। তার ছেলে যদি মুক্তিযোদ্ধা বলতেই অন্ধ হন তবে আর কি আর বলার। নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। আসলে আমাদের এমপিই অন্ধ হয়ে গিয়েছেন। তাই সঠিক অনুষ্ঠানে সঠিক ব্যক্তিকে পরিচয় করিয়ে দিতে পারেননি।
 

এই বিভাগের আরো খবর