মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০

সিদ্ধিরগঞ্জে প্রো-এ্যাকটিভ হাসপাতালে অপ-চিকিৎসার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯  

সিদ্ধিরগঞ্জ (যুগের চিন্তা ২৪) : সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় প্রো-এ্যাকটিভ হাসপাতালে অপচিকিৎসার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে রোগীর স্বজনরা। নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর ফারুকের স্বজন ও ভুক্তভোগীরা বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টায় এ বিক্ষোভ হয়। এসময় হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় ব্যবস্থপনা পরিচালক প্রকৌশলী মহিউল ইসলাম ও ডাক্তাররা।


কাউন্সিলর ফারুক সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, সামন্য পেটের ব্যাথার জন্য গত ১০ ডিসেম্বর তার পিতা ইউনুস মিয়াকে হাসপাতালাতে ভর্তি করা হয়। দুইদিনে পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। তার পরও কোন পরিবর্তন হয়নি। নিজের পরিচয় গোপন রেখে হাসপাতালের চিকিৎসা পদ্ধতি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় কর্তৃপক্ষ রোগীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করছেন। 

 

তিনি আরও জানান, এক প্রসূতির সন্তান প্রসবের জন্য কৌশলে ৭০হাজার টাকা আদায় করেছে। ভুল চিকিৎসায় ওই নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। বিগত তিন মাসে হাসপাতলটিকে ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে ৫ জন রোগী। হাসপাতালটিকে কসাই খানা উল্লেখ করে তিনি অপচিকিৎসা বন্ধের দাবি জানান। 


মমতাজ বেগম নামে রোগীর একজন স্বজন জানায়, মেয়ে হেলেনার শিশু সন্তানকে ঠান্ডা জনিত রোগের কারণে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার ভর্তি করে। দৈনিক ৭ হাজার টাকা নিচ্ছে সিট ভাড়া। তিন দিনে শুধু সিট ভাড়াই দিয়েছে ২১ হাজার টাকা। অথচ শিশু সুস্থ্য হওয়ার কোন লক্ষণই নেই। 


সোনারগায়ের পলাশ জানায়, তার ভাতিজাকে ভর্তি করা হয়েছে ৪ দিন হয়। এরই মাঝে ২৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে শুধু ওষুধ আর পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাবদ। কতদিন হাসপাতালে থাকতে হবে তার নিশ্চয়তা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা। ফলে চিকিৎসা খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রোগীদের জিম্মি করে অর্থ হাতিয়া নেওয়ার কৌশল গ্রহণ করায় দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। এ ক্ষোভের বহিপ্রকাশ ঘটেছে কাউন্সিলর ফারুকের সাহসী ভূমিকার কারণে। 


এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. ইমতিয়াজের সাথে কথা হলে তিনি জানান, হাসপাতালটির চিকিৎসা সেবা নিয়ে বহু মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর আগেও উক্ত হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় অনেক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। 


হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থপনাা পরিচালকের সাথে কথা বলা সম্ভব না হলে এডমিন ডা. রাশেদুল হুদা অপচিকিৎসা ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন।

এই বিভাগের আরো খবর