বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

সিদ্ধিরগঞ্জে কয়েক দশক পর দখলমুক্ত হল সওজ’র জায়গা

প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারি ২০২০  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : সিদ্ধিরগঞ্জে শিমরাইল-আদমজী-নারায়ণগঞ্জ সড়কের প্রায় চার কিলোমিটার এলাকায় বেশ কয়েক দশক ধরে সওজ’র জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তুলা বহুতল ভবন, মার্কেট, পেট্রোল পাম্প, চুন প্রস্তুতকারী কারখানা ও দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে। সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগ’র দ্বিতীয় দিনের অভিযানে রোববার দিনব্যাপি এ অভিযান পরিচালিত হয়।    

 

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সম্পতি ও আইন কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: মাহাবুবুর রহমান ফারুকীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয় শিমরাইল-আদমজী-নারায়ণগঞ্জ সড়কে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উচ্ছেদের সময় নির্বাহী মেজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) রোমানা আক্তার।


এর আগে উচ্ছেদের প্রথম দিন শনিবার থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাজলা থেকে কাঁচপুর সেতু পর্যন্ত উভয় পার্শ্বে অবৈধ ভাবে নির্মাণ করা সকল বিলবোর্ড ভাঙ্গার কাজ শুরু করা হয়েছে। রোববার সকাল থেকে এই সড়কের সাইনবোর্ড থেকে মৌচাক পর্যন্ত মহাসড়কের উত্তর পার্শ্বে দেড় শতাধিক কাঁচা-পাকা স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সোমবারও উচ্ছেদ অভিযান চলবে।


মাহাবুবুর রহমান ফারুকী জানান, নিরাপদ সড়ক পরিবহন নিশ্চিত করণে হাইকোর্টের ২৫ দফা নির্দেশনার ৩, ৪ ও ৫ তম দফা বাস্তবায়ন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

স্থানীয়রা জানায়, একশ্রেণির প্রভাবশালী লোকেরা ৫০ বছরের অধিক সময় ধরে সড়কের পাশের সরকারি জমি দখল করে বহুতল ভবন, মার্কেট ও বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলে ভাড়া বাণিজ্য করে আসছিলেন।এর আগে ২০০৭ সালে ১/১১ এর সরকার শিমরাইল-আদমজী সড়কে উচ্ছেদ চালালেও তা এত ব্যাপকভাবে তখন করা হয়নি।


স্থানীয়রা জানিয়েছে, উচ্ছেদ অভিযানের আগে সওজ পত্রিকায় গণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, মাইকিং ও গণ বিজ্ঞপ্তির প্রচার পত্র বিলি করেছে গত মঙ্গলবার থেকে। 

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাহাঙ্গীর আলম, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার শেখ, শাখাওয়াত হোসেন শামীম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: মনির হোসেন, কাফি হোসেন, ফিরোজ আলম, সোলাইমান কবির রাজন, সার্ভেয়ার সাইফুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির, দেওয়ান মো: সোহাগসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য ।
 

এই বিভাগের আরো খবর