মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগ সাঃ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী কাউন্সিলর ফারুক

প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : সারাদেশে আওয়ামীলীগের কাউন্সিলকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সে দিক দিয়ে পিছিয়ে নেই নারায়ণগঞ্জের মাঠের রাজনীতি। জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগ এবং সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের পাশাপাশি থানা কমিটিগুলোর কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

 নারায়ণগঞ্জের মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ একটি গুরুত্ব পূর্ণ রাজনৈতিক অঞ্চল। আর এ এলাকাটি আওয়ামীলীগের ঘাটি বললেই চলে। ইতিমধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসার জন্য অনেকেই মাঠে নেমেছে। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।

এরমধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছে ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওমর ফারুক। কিন্তু নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কাউন্সিলর ওমর ফারুক তার অবস্থান নিশ্চিত করে বলেছেন আমি দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে কাজ করছি। তাই আমি থানা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক পদ প্রত্যাশী। যুগের চিন্তা ২৪ এর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এমনই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

ওমর ফারুক বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর যখন বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের উপর দমন-নিপীড়ন এবং সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সারাদেশে জঙ্গী কার্যক্রম শুরু করে দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা শুরু করে। 

ঠিক সেই মূহুর্তে ২০০৩ সালে নারায়ণগঞ্জের প্রাণ পুরুষ জননেতা একেএম শামীম ওসমানের দিক নির্দেশনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সিদ্ধিরগঞ্জবাসীর প্রত্যাশা ছিল একটি শক্তিশালী কমিটি হবে। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেড়িয়ে গেলেও কোন কমিটি না হওয়ায় নতুন কোন নেতৃত্ব তৈরী হয়নি। তারপরও আমরা থেমে থাকিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের সাথে হাতে-হাত, কাধে-কাধ মিলিয়ে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম শুরু করি। 

ওমর ফারুক আরো জানায়, ওয়ান ইলেভেনের পর নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর আমরা বিএনপি জোটের রাহুগ্রাস থেকে মুক্তি পাই। বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাড়াতে শুরু করে। শুরু হয় উন্নয়ণের অগ্রযাত্রা। সেই অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করতে বিএনপি-জামায়ত জোট ২০১৩ সালে সারাদেশে জ্বালাও-পোড়াও শুরু করে। 

পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারতে থাকে। আমাদের প্রানপ্রিয় নেতা, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের কান্ডারী একেএম শামীম ওসমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এবং দিক নির্দেশনায় সেই জ্বালাও-পোড়াও থেকে সাধারন মানুষকে বাঁচাতে আমরা রাজপথে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। সেই থেকে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মডেল হয়ে দাড়িয়েছে। 

বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সম্মানজনক অবস্থান করেছে। সেই ধারাকে আমরা অব্যাহত রাখতে সদা প্রস্তুত রয়েছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে অতীতেও কাজ করেছি এবং যতদিন বেঁচে আছি ততদিন কাজ করে যাব।
তিনি জানায়, আমার পরিবার একটি আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবার। আমার বাবা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। সে থেকেই আমার পথচলা। আমরা এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তাই এলাকার উন্নয়ণে সবসময় নিজেকে আতœনিয়োগ করেছি। আমার ১নং ওয়ার্ডবাসী আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছে। আর আমি তাদের মূল্যবান ভোটের মর্যাদা রক্ষায় আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। একটি উন্নয়ণ বঞ্চিত এলাকাকে উন্নয়েণর মাধ্যমে বদলে দিয়েছি। 

যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছি এবং এতদিন কোন দায়িত্ব নেয়ার সুযোগ হয়নি তাই বর্তমানে সংগঠনকে পূর্নগঠন করার যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে সেহেতু আমাকে যদি সাধারন সম্পাদক হিসেবে শীর্ষ নেতৃবৃন্ধ যুবলীগের দায়িত্ব দেয় তাহলে আন্তরিকভাবে দলকে সুসংগঠিত করতে সবাইকে নিয়ে কাজ করবো।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পর অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে যুবলীগ একটি শক্তিশালী প্লাটফর্ম। জাতির জনকের আদর্শকে বুকে লালন করে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত উন্নত আধুনিক স্বনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে নিজেকে আত্মনিয়োগ করতে চাই। 

সেজন্য যুবসমাজকে সংগঠিত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ণ অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে এবং জননেতা একেএম শামীম ওসমানের হাতকে শক্তিশালী করতে আমাদের অভিভাবক মজিবুর রহমান, ইয়াছিন মিয়া এবং মতিউর রহমান মতিসহ সকল নেতৃবৃন্ধের সাথে মিলে মিশে কাজ করতে চাই।

ওমর ফারুক বলেন, আশা করি শীর্ষ নেতৃবৃন্ধ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই এবং বিবেচনা করে সিদ্ধিরগঞ্জ যুবলীগের কমিটি গঠন করবেন। তাদের প্রতি আমার আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। যদি আমার উপর সেই গুরু দায়িত্ব অর্পন করে তাহলে সিদ্ধিরগঞ্জের যুবসমাজকে সংগঠিত করে একটি গতিশীল প্লাটফর্ম তৈরী করতে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ  করবো। 
 

এই বিভাগের আরো খবর