সালামি দিতেই আমার ভালো লাগে : আনোয়ার প্রধান
প্রকাশিত: ৩১ মে ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : ঈদ এক নির্মল আনন্দের আয়োজন, যেখানে মানুষ আত্মশুদ্ধির আনন্দে পরস্পরের মেলবন্ধনে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং আনন্দ সমভাগাভাগি করে। মাহে রমজানের এক মাসের সিয়াম সাধনার মাধ্যমে নিজেদের অতীত জীবনের সব পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত হতে পারার পবিত্র অনুভূতি ধারণ করেই পরিপূর্ণতা লাভ করে ঈদের খুশি। আর এ ঈদের খুশি আরো দ্বিগুন হয় যখন পরিবার-পরিজনে সাথে ঈদ উদযাপন করার সুযোগ হয়। ঈদ স্মৃতির কথা বর্ণনা করতে গিয়ে এমনটাই জানালেন জেলা মৎসজীবী দলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন প্রধান। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন সেলিম চৌধুরী।
অ্যাডভোকেট আনোয়ার প্রধান ঈদের স্মৃতিচারণ করে জানান, একদিকে সংসার অন্যদিকে পেশা জীবনের ব্যস্ততায় মা-বাবা ভাইবোনদের সাথে ঈদ উদযাপন সে ভাবে হয়ে উঠে না। তবে ৪ বছর আগে হজ্জ করতে যাওয়ার পূর্বে পাঁচ ভাই এক বোন একসাথে ঈদ উদযাপন করেছিলাম। এরপরে আর একত্রিত হয়ে ওঠেনি।
ছোটবেলার ঈদ ছিলো একদম অন্যরকম। ছোটবেলায় বাবার কাছ থেকে উপহার হিসেবে আমরা ঈদের যে জামা (শার্ট, প্যান্ট) পেতাম তখন যে আনন্দ হতো সেটা ভাষায় প্রকাশ করবার মতো নয়।
ঈদে সালামির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিভাবক এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়ায় এখন আরও কেউ সেলামি দেয় না। তবে এখন আমাকে দিতে হয়। নতুন টাকায় ভাতিজা-ভাগ্নেদের ঈদ সেলামি দিতে হয়, ভালোই লাগে।
ঈদের কেনাকাটা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদের কেনাকাটা শেষ। এখন শুধু চাঁদ রাতে হাতে মেহেদী পরবার জন্য টিউব মেহেদী কেনা বাকি আছে আর কি।
এবারের ঈদ উদযাপন আর ঈদের দিনের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে এ আইনজীবী বলেন, প্রতিবারের ন্যায় এবারও নামাজ আদায়ের পরে নিজ বাড়িতেই ঈদ উদযাপন করা হবে। সারাদিন খুবই ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে যাবে। মাসদাইর ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাআত শেষ হতেই শুরু হবে কুশল বিনিময়, খাওয়া দাওয়া,পরিবার পরিজনদের নিয়ে আড্ডা দেয়া। বিকেল বেলায় এলাকার ছোট-বড় সকলের সাথে চাই এর দোকানে ও সন্ধ্যায় চাইল্ড কেয়ার স্কুলে অবিরাম আড্ডা। সবমিলিয়ে সারাদিন ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই কাটবে।
শুভানুধ্যায়ীদের অগ্রীম ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়ে আনোয়ার প্রধান বলেন, ঈদে সবাই সবার পরিবার পরিজন, আত্মীয়-স্বজন ও সহকর্মীদেরকে নিয়ে আনন্দে ও সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করুক এই কামনা করি।
- স্বদিচ্ছা আর সৎ সাহস থাকলে সবাই উন্নতি করতে পারে: আচল আহমেদ
- গরুর চোখের প্রতি আমার দূর্বলতা আছে : রাজিব
- গরুর গলায় দাম লিখে ঝুলিয়ে রাখতাম : রনি
- সেদিনের পর থেকে আজও ছাগলের মাংস খাইনা : হোসনে আরা বীনা
- কোরবানির কথা মাথায় আসলেই ভয় লাগে : আবুল কাউসার আশা
- পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারবো কী না শঙ্কা আছে : শাহেদ
- দাম যেই শুনেছে সেই বলছে ‘ভাই ঠকছেন’: মোরছালীন বাবলা
- কখনো কোরবানির পশুর হাটে যাওয়া হয়নি : সাংসদ হোসনে আরা বাবলী
- ঈদ সালামি এখন কেউ দিতে চায় না, তাই জোর করে নেই : শাহ নিজাম
- ছোটবেলার ঈদে হৃদয় ছোঁয়া আনন্দ ছিল : এড.আওলাদ
- বাবা হাটে যাওয়ার পর রেললাইনে গিয়ে অপেক্ষা করতাম : অ্যাডভোকেট পলু
- বাবা-চাচা কেউই বেঁচে নেই, আমিই এখন অভিভাবক : আলেপ উদ্দীন
- এবার পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে চাই : খোরশেদ
- গরুর লেজ দিয়ে তৈরী রেসিপি আমার খুবই পছন্দ : কাউন্সিলর রুহুল আমি
- নেত্রী কারাগারে আলাদাভাবে তেমন কোন পরিকল্পনা নেই : গিয়াস উদ্দিন