বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

সরকারি নির্দেশ অমান্য করে জনসমাগম,স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই বসছে হাট

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২০  

সোনারগাঁ (যুগের চিন্তা ২৪) : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বারবার জনসমাগম থেকে দূরে থাকার কথা বলা হলেও সরকারি এই নির্দেশনা অমান্য করে রোববার সোনারগাঁ উপজেলার কাইকারটেকে বসেছে বিশাল হাট। ফলে করোনা প্রতিরোধের নিয়ম না জানা গ্রাম থেকে আসা এসব মানুষের জমায়েতে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এ হাটটি ব্রিটিশ সময়কাল থেকে চলে আসছে। ওই অঞ্চলের কয়েক গ্রামের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় হাট। সেখানে গরু-ছাগল, হাস-মুরগীসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কেনা-বেঁচা হয়। প্রতিসপ্তাহে এখানে রোববার এই হাট বসে। 

 

এর ধারাবাহকতায় আজ আশেপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শতশত ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটে এ হাটে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে হাট বসিয়ে প্রতি দোকান থেকে খাজনা আদায় করে যাচ্ছে ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। 

 

এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে করোনা কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে বিক্রি করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশাল হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়, ধুলো-ময়লা ও গাদাগাদি অবস্থায় চলছে বেচা-কেনা। হাঁচি-কাশি, থু থু ফেলা, হাত মেলানা, জড়িয়েধরাসহ বন্ধ নেই সংস্পর্শে আসার কোন কিছুই। এতে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে করোনার সংক্রমণের।


 
এ ব্যাপারে স্থানীয় মাসুদ বলেন, করোনা ভাইরাস আতংকে যখন সারা পৃথিবীর মানুষ দিশেহারা যেখানে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসনসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের সচেতন জনগণ। ঠিক সেই মুহূর্তে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাইকাটেকের হাট কর্তৃপক্ষ তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে। 


বিভিন্ন ক্রেতা ও বিক্রেতারা বলেন, আমরা গরীব মানুষ। আমরা আসছি পেটের দায়ে। আমাদের কিস্তি আছে। হাটে না আসলে আমাদের আয় হবে না।

 

উপজেলা প্রশাসনের কাছ থেকে কোন বন্ধের নার্টিশ পাইনি। নোর্টিশ পেলে অবশ্যই হাট বন্ধ করে দিতাম। হাটে আগতদের সচেতন করার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন মেটানো ও বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে হাট খোলা হয়েছে বলে দাবি ইজারাদারদের।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, হাট-বাজার বসানোর খবর জানার পর হাটের ইজারাদাকে বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। তারপরও ওই নির্দেশ না মেনে থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সোনারগাঁও থানার (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, উপজেলা নিবার্হী অফিসারকে বিষয়টা জানান।

এই বিভাগের আরো খবর