বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

সফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সম্মাননা পেলেন সোহাগ হোসেন

প্রকাশিত: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

আড়াইহাজার (যুগের চিন্তা ২৪) : একজন  সরকারি কর্মকর্তার পক্ষে জনগণের আস্থা অর্জন করা সহজ কোন কাজ নয়। কঠিন পথ পরিক্রমা পাড়ি দিয়ে তবেই জনগণের আস্থার যায়গায় পৌঁছানো সম্ভব। কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে জনতার মনকে যিনি ছুঁয়ে যেতে পেরেছেন আপন যোগ্যতায়-তিনি হলেন আড়াইহাজার উপজেলার বর্তমান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সোহাগ হোসেন। তাই স্থানীয়ভাবে প্রকাশিত সাপ্তাহিক আমাদের আড়াইহাজারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নির্বাহী অফিসার মো. সোহাগ হোসেনকে বিশেষ সম্মনান দেওয়া হয়েছে। 


সোমবার (১৭ ফেব্রয়ারি) বিকালেসোহাগ হোসেনের হাতে এ  সম্মাননা তুলে দেন নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাউদ মাসুদ। এ সেময় মো. সোহাগ হোসেন বলেন, এই পুরস্কার পাওয়ায় আমি আনন্দিত। আমার কাজের গতি বাড়বে। 


জানা গেছে, আড়াইহাজার উপজেলা এখন উন্নয়নের রোল মডেল। তাই প্রতিদিনি অনেক লোক ইউএনও অফিসে যাতায়াত করেন। সকলের কথা শুনে তিনি সম্ভাব্য কাজগুলো করে দেন। এবং কোন সমস্যা হলে তা সামধানও করেন। সবকিছু মিলিয়ে নতুন ইউএনও আড়াইহাজারবাসীকে আপন করে নিতে পেরেছেন। জনগণকে সামলানোর মধ্যে দিয়েই চলে তাঁর নিত্যদিনের রুটিন মাফিক কাজগুলো। উপজেলা প্রশাসনে একটা শৃঙ্খলাবোধ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আগে অনেক অফিসারই নাকি সময়মত অফিসে আসতেন না। এখন সেই চিত্র বদলে গেছে। উপজেলায় বসানো হয়েছে মেশিন। সেই মেশিনে হাজিরা দিয়ে সবাইকে অফিসে ঢুকতে হয়। অনিয়মিত অফিস করার কোন ধরনের সুযোগ নেই। কেউ অফিস ফাঁকি দিলে তা সহজেই ধরা পড়ে যায়। 

 

সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণ : আড়াইহাজার উপজেলায় বিভিন্ন স্কুল-কলেজে পরীক্ষা দেয়া হয় শান্তি ও সুষ্ঠুভাবে। আগে স্কুল কলেজে পরীক্ষা মানেই ছিল একটা বিশৃঙ্খল পরিবেশ। অনেক লোক থাকতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চারপাশে। এখনকার দৃশ্যপট ভিন্ন। এখন পরীক্ষা হল মানেই পিন-পতন নিরবতা। কেন্দ্রের আশপাশ কোলাহলমুক্ত। পরীক্ষার্থীদের সাথে আসা অভিভাবকরা নির্ধারিত স্থানে বিশ্রাম নেন। ইউএনও আসার পর একটা ছকে চলে এসেছে। এখন শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কোথাও কোন বিশৃঙ্খলা নেই। 

 

বাল্য বিবাহ বন্ধ : বাল্য বিবাহ বন্ধেও ইউএনও মহোদয় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। গ্রাম-গঞ্জের মানুষ এখন কতটা সচেতন তা কয়েকটি ঘটনার মধ্যে দিয়েই বোঝা যায়। ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের উৎরাপুর, ঈদবারদী, প্রভাকরদী ও বৈলারকান্দি গ্রামে একটি এনজিও কাজ করছে ক্ষুদ্র  ঋণ নিয়ে। এক মহিলা তার মেয়ে বিয়ে দেয়ার জন্য ঋণ তুলতে আসে এনজিও কর্মীর কাছে। এনজিও কর্মীটি একটি ফরম ফিলাপ করার সময় খুটিনাটি জানতে চায়। 

 

শেষ মেষ জানতে চায় যে মেয়ের বিয়ের জন্য ঋণ তুলবেন তার বয়স কত ? মহিলার সরল উত্তর ছিল তেরো বছর। এনজিও কর্মীটি ফরম ফিলাপ করেনি। আশপাশের লোকজনও ওই মহিলাকে বোঝাতে চেষ্টা করে বাল্য বিবাহ দেয়া ঠিক নয়। এটা অপরাধ। এনজিও কর্মী ঘটনাটি স্থানীয়  মেম্বারকে জানিয়ে রেখেছিল। শেষ পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহের অভিশাপ থেকে রেহাই মিলে ওই কিশোরীর। এমন ঘটনা ভুরি ভুরি। আড়াইহাজারের যে কোন গ্রামেই বাল্য বিবাহের আয়োজন দেখলে রুখে দেয় প্রশাসন। 

 

কিশোরীদের স্বাস্থ্যরক্ষা : পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী বর্ষা। ক’দিন ধরে স্কুলে যায়না। সহপাঠীরা তাকে জিজ্ঞেস করে তোর কি অইছে। কেলাসে যাবিনা।’ বর্ষা কিছু বলেনা। আসলে বর্ষার বয়সন্ধিকাল চলছে। প্রথমবার তার শরীর খারাপ হয়েছে। বর্ষা ভয় পেয়ে গিয়েছিল। কেননা বিষয়টা ধরা পড়েছিল স্কুলে। একজন ম্যাডাম তাকে ছুটি দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। সাথে এও বলে দেয়, ‘তোমার মাকে বলবে শরীর ভাল না হওয়া পর্যন্ত স্কুলে যাওয়ার দরকার নেই।  তোমাকে প্যাড ব্যবহার করতে হবে। ’ বর্ষা ভয় পায়নি। স্কুলের ম্যাডামের নির্দেশ মত যথারীতি বিষয়টি সে তার মাকে জানায়। বিষয়টি তার জন্য সহজ হয়ে যায়। বর্ষার মত অনেক কিশোরীদের স্বাস্থ্যরক্ষার বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

 

মুজিব দিবসের ক্ষন গণনা : পুরো প্রশাসন সামলানোর পরও বিভিন্ন জাতীয় দিবসে সুন্দর আয়োজন করে থাকে উপজেলা প্রশাসন। এর প্রমাণ মিলেছে এবার। মুজিব বর্ষের ক্ষন গণনায় উপজেলায় ১৫ টি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা জানান, ইউএনও সাহেব করিৎকর্মা লোক। তিনি বিভিন্ন দিবসে ভাল আয়োজন করেন। দাওয়াত পেয়ে আমরা আসি। তার বক্তব্য শুনি। কর্মসূচীগুলো চমৎকারভাবে পালিত হয়। একেকটি জাতীয় দিবসে উপজেলা প্রশাসন হয়ে উঠে মিলন মেলা। 

 

জাতীয় দিবন পালন : আড়াইহাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোহাগ হোসেন বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন করার ক্ষেত্রেও দক্ষ ও সততার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি যোগদান করেই বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় শিশুদিবস অত্যান্ত আর্কষণীয় ও সুন্দর ভাবে উপজেলা বাসীন নিকট উপস্থাপনা করেছেন।


আড়াইহাজার উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি লোকমান হোসেন বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার যোগদান করার পরই সব কিছু চিত্র পাল্টে গেছে। বিশেষ করে নকলমুক্ত পরিবেশে এসএসসি, জেএসসি ও পিইসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আড়াইহাজারবাসী তা সবসময় স্মরণ

এই বিভাগের আরো খবর