মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০

শীতলক্ষ্যায়এনার্জিপ্যাক হ্যামকোসহ অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৯  

রূপগঞ্জ (যুগের চিন্তা ২৪) : রূপগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে ৫ম দফায় দ্বিতীয় দিনে দখলকারী এনার্জিপ্যাক হ্যামকোসহ আরো অর্ধশতাধীক অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ'র ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে উপজেলার খৈসাইর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীর এলাকায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 


এছাড়া জব্দকৃত ইট, বালু ও কয়লা মোট প্রায় ২৫ লাখ  টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়। অনুমোদনের বাইরে নদী ভরাট ও দখল করায় এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড নামের কারখানাকে  নগদ ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। 


নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম হাবিবুর রহমান হাকিমের নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, উপ-পরিচালক মো: শহীদুল্লাহসহ বিআইডব্লিউটিএ'র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়া একটি ভেকু, জাহাজ অগ্রপথিক, একটি টাগবোট, একটি স্পীডবোট, বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আনসার সদস্য, উচ্ছেদ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


জানা গেছে, রূপগঞ্জের খৈসাইর এলাকার নদী দখল ও ভরাটের অভিযোগে সাব্বিরের মালিকানাধীন এএসবি ব্রিকফিল্ডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জব্দকৃত ইট বালু ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি, সিদ্দিকুর রহমানের মালিকানাধীন জিএসবি ব্রিকফিল্ডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জব্দকৃত ইট বালু কয়লা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি, হারিজুলের মালিকানাধীন এসএনআর ব্রিকফিল্ডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জব্দকৃত ইট বালু কয়লা ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি, শরীফের মালিকানাধীন এমএনবি ১ ব্রিকফিল্ডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জব্দকৃত ইট বালু কয়লা ৩ লাখ টাকায় নিলামে বিক্রি, নাদিমের মালিকানাধীন এমএনবি২ ব্রিকফিল্ডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জব্দকৃত ইট বালু ৬০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি, সাইফুল ইসলামের মালিকানাধীন বিআইপি ব্রিকফিল্ডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জব্দকৃত ইট বালু ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়। খৈসাইর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে লোড আনলোডের জন্য এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড নামের কারখানাটি ভাসমান জেটি নির্মাণের অনুমোদন নিলেও নদী ভরাট ও দখল করে নির্মান কাজ করছিল।


পরে কারখানাটির মালিকপক্ষকে নগদ ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং জব্দকৃত বালু ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়। এসময় এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড নামের কারখানাটির কর্তৃপক্ষ মুচলেকা দেন আগামী ২ মাসের মধ্যে ভরাটকৃত অংশ খননের মাধ্যমে নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দেয়া হবে। 


পরে সাকিলউদ্দিনের মালিকানাধীন এমকেবি ব্রিকফিল্ডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জব্দকৃত ইট বালু কয়লা ৪ লাখ ৮ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি, যুবলীগ নেতা এসটি সাত্তারের মালিকানাধীন এসটিএ ব্রিকফিল্ডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জব্দকৃত ইট বালু কয়লা ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি, হ্যামকো ব্যাটারীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জব্দকৃত বালু কয়লা ৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়।


নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম হাবিবুর রহমান হাকিম জানান, নদী দখলদাররা যত প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের কোন ছাড় নেই। দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। 
 

এই বিভাগের আরো খবর