বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শীতলক্ষ্যা ও ভুলতা উড়াল সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী (ভিডিও)

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতু এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৩৫৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভুলতা উড়াল সেতুর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (১৬ মার্চ) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুটি সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে আজ থেকে অথনৈতিক লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত দুটি মহাসড়কে সেতু দুটির উপর দিয়ে যানচলাচল শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সংযুক্ত কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন,এসেতুটি আমি নিজে উপস্থিত হয়ে উদ্বোধন করার কথা ছিলো। কিন্তু সেতুমন্ত্রী (ওবায়দুল কাদের) অসুস্থ থাকায় সেটি সম্ভবপর হয়নি। তার আরোগ্যলাভের জন্য সকলে দোয়া করবেন। তিনি সুস্থ্য হয়ে উঠলে সেতুটি দেখতে আসবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া তিনি গোমতী ও মেঘনা সেতুর মতো কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতুটির নামকরণ শীতলক্ষ্যা সেতু করার আহবান জানান। এই মহাসড়কের অন্য দুটি সেতুর  (মেঘনা ও গোমতী) কাজ সম্পন্ন হলে যানজট কমে এসে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো ভালো হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে এ সময়  নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ সেলিম ওসমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 


অপরদিকে গণভবন থেকে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে ভুলতা উড়াল সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। রূপগঞ্জ ইউএনও মমতাজ বেগমের সভাপতিত্বে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতিক)সহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ উড়াল সেতুর কারণে রূপগঞ্জের সাথে ঢাকার দুরুত্ব আরো কমে গেলো।’ 

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ মহাসড়কে চার লেনের নতুন কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতুর দৈর্ঘ্য ৩৯৭ দশমিক ৩০ মিটার। প্রস্থ ১৮ দশমিক ১ মিটার। সেতুটির ভিত্তি কংক্রিটের ঢালাই এবং ৫টি পিলারের ওপর স্টিল গার্ডারের। ১০০ বছরের স্থায়িত্ব নির্ধারণ করে নির্মাণ করা সেতুটির ঠিকাদার যৌথভাবে জাপানি চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান-ওবায়শি, শিমিজু, জেএফআই ও আইএইচআই। আর সেতুর উপ-ঠিকাদার বাংলাদেশের মীর আকতার হোসেন। মূল সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণে ব্যয় হয় ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। মোট ব্যায়ের ৭৫ ভাগের যোগান দেয় জাইকা। আর ২৫ ভাগ অর্থ ব্যয় হয় বাংলাদেশ সরকারের। ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

অপরদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় একটি মেগা প্রকল্পের আওতায় ৩৫৩ কোটি ৩৬ লাখ  টাকা ব্যয়ে চার লেন বিশিষ্ট তিন তলা ভুলতা উড়াল সেতুটি নির্মিত হয়।

২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে চারলেনবিশিষ্ট ভুলতা উড়াল সেতুটি নির্মাণে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সাক্ষর করেছিলো সরকার। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ফ্লাইওভারটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ২৪ ব্যুরো গ্রুপ কোং, স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ও এএম বিল্ডার্স। চার লেনবিশিষ্ট উড়াল সেতুটির দৈর্ঘ্য ১ দশমিক ২৩৮ কিলোমিটার। 

এই বিভাগের আরো খবর