শীত না যেতেই বাড়তে শুরু করেছে সবজির দাম
প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : শীতকাল শেষ হয়ে গরম আসতে না আসতেই বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। ফলে বেশ কিছুদিন ধরে যে সবজির দাম ক্রেতাদের স্বস্তি দিচ্ছিল, তাই হঠাৎ করেই অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি একে অপরের সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে চাল, ডিম, তেল ও মুরগির মাংসের দাম।
শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ দিগুবাবুর বাজার ঘরে দেখা যায়, গরম আসতে না আসতেই করলা, ঝিঙ্গা, উস্তা,ফুলকপি, সিমসহ অন্যান্য সবজির দাম ও বেড়েছে।
শীতের অন্যতম প্রধান সবজি ফুলকপি বেশ কিছুদিন ধরেই প্রতি পিস ২০ থেকে ৩০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছিল। সেই ফুলকপির দাম শুক্রবার বেড়ে হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এবং শীতের শেষ মূহুর্তে টমেটোর দাম ঠেকেছে একেবারে তলানিতে,প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে, ১০-১৫ টাকা দরে।
উস্তা,করলা বিক্রি সপ্তাহ ব্যবধানে ১০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ২০ থেকে ২৫ টাকা দামে বিক্রি হওয়া পাতাকপির দাম বেড়ে হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দামে বিক্রি হওয়া শিমের দাম বেড়ে হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। আর বিচিসহ শিমের দাম বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে শালগম, মুলা, টমেটো, বেগুনও। ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া শালগমের দাম বেড়ে হয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। বেগুনের দাম এক লাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি।
মুলার দাম ১৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া টমেটোর দাম বেড়ে হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ঠান্ডা তরকারি হিসেবে পরিচিত লাউ’র দামও বেশ বেড়েছে। গত সপ্তাহে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা পিস বিক্রি হওয়া লাউ’র দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।
সবজির দাম বাড়ার বিষয়ে বাজারের ব্যবসায়ী নয়ন মিয়া বলেন, শীতের সময় সব সবজির দামই কম থাকে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সবজির দাম বেশ কমেছে।
যদিও এখন বাজারে কোনো সবজির অভাব নেই। আড়তে গেলেই পছন্দমত সবজি পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু দাম একটু বাড়তি। তাই আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এদিকে পেঁয়াজের আকাশ ছোঁয়া দামে কিছুটা ছেদ পড়লেও এখনো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহের মতোই প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। নতুন দেশি পেঁয়াজা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। আর পুরাতন দেশি পেঁয়াজের দাম ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি।
অন্যদিকে বিভিন্ন মাছের দাম নিার্ধারণ করা হয় মাছের আকার বুঝে বড় হলে বেশি আর ছোট হলে কম এমনটাই বললেন ওমর ফারুক নামে এক মাছ বিক্রেতা। প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ১১০০-১২০০ টাকায়, তেলাপিয়া ২৫০-৩০০ টাকা, শিং ৮০০-৮৫০ টাকা, কৈ ১৫০০-১৬০০ টাকা, বোয়াল ৮০০-৮৫০ টাকা এবং ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকায়।
এছাড়া মুরগির মাংসের দাম ও ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কক বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা দরে, লাল লেয়ার ২০০ থেকে ২২০ টাকা। আর ডিমের দামও বেড়েছে হঠাৎ লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৪ -৩৫ টাকা প্রতি হালি এবং হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৫ টাকা প্রতি হালি।
- মহিলাসহ রিসোর্টে অবরুদ্ধ মামুনুল হক (ভিডিও)
- আমরা ঝুঁকিপুর্ণ এলাকায় রয়েছি : মোস্তাইন বিল্লাহ
- রমজানের আগেই অস্থির বাজার
- নিটল টাটা মটরস’র প্রাইভেট কারের নতুন শো রুম উদ্বোধন
- ‘লেটার অব ক্রেডিট’ বা ‘এলসি’ এর আদ্যোপান্ত
- সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে করুণদশা, বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকছেন ব্যাংকে
- ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নাসিকের বাজেট ৭১৫ কোটি টাকা
- গার্মেন্টসে বেতন বাড়াতে রাজি মালিকদের শর্ত ট্যাক্স কমাতে হবে
- ঝাঁঝ কমছেনা আদার, অপরিবর্তিত সবজির দামও
- সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ঠিকাদারের কাছে চাঁদাদাবি : উত্তেজনা
- না’গঞ্জে কুমিল্লা জেলা সমিতি গঠিত
- বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সেই ব্যাংকে চেয়ারম্যান নিয়োগ
- পাল্টে গেছে বাজার চিত্র : ১০০ টাকায় পাঁচ কেজি শিম
- গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র’র উদ্যোগে সমাবেশ ও মিছিল
- দাম কমল কোরবানির পশুর চামড়ার