শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

শিশু আনাসের চমক : পরিত্যক্ত ব্যাটারি দিয়ে বানালেন চার্জার লাইট

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০১৯  

অনেকটা খেলার ছলে আর নিজের কৌঁতুহল থেকেই বাবার ফেলে দেয়া পরিত্যাক্ত মোবাইল ফোনের ব্যাটারী আর বাতিল খেলনার মোটর নিয়ে  ঘাঁটাঘাটি করতেই বানিয়ে ফেললেন চমৎকার চার্জার লাইট। পাঠক হয়তো ভাবছেন এ আর এমনকি কাজ। কিন্তু ঘটনাটা তেমন বড় কিছু না হলেও, যিনি কাজটা করেছেন সেটা খুবই আগ্রহ উদ্দীপক। এটা আবিস্কার করেছেন যে শিশু তার বয়স মাত্র ১১।

 

মাদ্রাসার মক্তব্য (শিশু) শ্রেনীতে পড়ে। এত কম বয়সে পড়াশুনার দৌড় যেমন কম, তেমনি প্রযুক্তি জ্ঞানও নেই বললেই চলে। সোনারগাঁয়ের অজো পাড়া গ্রাম নয়াগাঁও এর শরীফ হোসেন মোল্লার ছেলে আব্দুল্লাহ আল আনাস। পড়াশুনা করছে চিটাগাংরোডস্থ মাদানী নগর মাদ্রাসার মক্তব শ্রেনীতে। 


এ বিষয়ে আনাস বলেন, আমি চিন্তা করলাম আব্বুর ফেলে দেওয়া ব্যাটারিটাকে কোন কাজে লাগানো যায়কিন। সেটা দিয়ে সরাসরি বাতি জ্বালাতে চেষ্টা করলাম জ¦লে না। তখন আমি খেলনার দুইটা  মোটরকে একসাথে জয়েন্ট দিয়ে ব্যাটারির সাথে সংযোগ দিলাম। তারপর বাতি লাগালাম তখন জলে উঠলো।  এরপর সেটাকে জুতার ব্রাশ এর উপর  রেখে স্কচটেপ দিয়ে লাগিয়ে দেই। এখন বাড়িতে কারেন্ট চলে গেলে এই বাতি দিয়েই পড়াশুনাসহ বাড়িরর অন্যান্য কাজ করা হয়। 


এব্যাপারে আনাসের পরিবার প্রথমত বিষয়টিকে  ছেলের পাগলামি বললেও, ছেলের এমন মেধা এবং সৃজনশীলতায় তারা খুশি। আনাসের বাবা শরীফ হোসেন মোল্লা বলেন, সে বাড়িতে আসলেই সব সময় খুঁটিনাটি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তখন মাঝে মধ্যে বকাঝকা করলেও  সে যে  এই বয়সে এমন একটি কাজ করে  ফেলবে  সেটা আমি ভাবতেও পারিনি। 
 
আনাসের এমন কা-ে প্রতিবেশিদের মাঝেও বেশ আগ্রহ তৈরী হয়েছে। তারা বলছেন, কাজটা ছোট হলেও এটা প্রমান করে যে আনাস সত্যিকারের মেধাবী। বিজ্ঞান আর আবিস্কারে ঝোক রয়েছে। তাকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করলে সে দেশের জন্য অনেক কিছু করতে পারবে।

এই বিভাগের আরো খবর