বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

শিক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নতুন মাইল ফলক: লায়ন এম কে বাশার

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯  

স্টাফ রিপোর্টার (যুগের চিন্তা ২৪) : আমরা জানি বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালে ঘোষনা দিয়েছিলেন ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ডিজিটাল দেশ হিসাবে রুপান্তির করবেন।

ওনার সুযোগ্য পুত্র সজিদ ওয়াজেদ জয় শিক্ষায় প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করার মধ্যে দিয়ে আমাদেরকে অনেক বেশী সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন।

একুশ শতকের এই চ্যালেঞ্চ মোকাবেলায় আধুনিক এ শিক্ষা পদ্ধতি আমাদেরকে অনেক বেশী সহযোগীতা করছে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। শিক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন মাইল ফলক।

শিক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার একুশ শতকের শিক্ষা ভাবনা ও অভিভাবকদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক লায়ন এম কে বাশার এসব কথা বলেন।  

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পূর্ব ইসদাইরে ক্যামব্রিয়ান স্কুল ও কলেজের মুক্ত মঞ্চে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।  এ সময় শিক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার একুশ শতকের শিক্ষা ভাবনার উপর ভিডিও তথ্য চিত্র প্রদর্শণ করা হয়।

সভায় উপস্থিত অথিতিদের মধ্যে ছিলেন- বিকেএস পির পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম, নবী নগর স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক ও অধ্যক্ষ আবদুস সালাম আজাদ, ইসলামি চিন্তাবিদ ও বক্তা মাওলানা জামাল উদ্দিন, বিডি এডুকেইশনের চেয়ারম্যান সুমন আহম্মেদ প্রমূখ।

এ সময় লায়ন এম কে বাশার আরো বলেন, গত বৃহস্পতিবার ডিজিটাল বাংলাদেশের তৃতীয় বৎসর পূর্ন হলো। এর মুল প্রতিপাদ্য বিয়ষ ছিলো সত্য মিথ্যা যাচাইয়ের আগে ইন্টারনেটের শেয়ার পরে। এই পুরো আয়োজনটির নেপথ্যে ছিল প্রতিমন্ত্রী জুনায়েত পলক।

তিনি বলেন, বর্তমান সময়টি আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের অভিভাবকদেরকে অনেক বেশী গুরুত্ব দিতে হবে সন্তানের প্রতি। আমরা যদি আমাদের স্বস্ব ক্ষেত্রে সফল হতে চাই আমরা যদি আমাদের সন্তানদেরকে আমাদের চেয়ে বড় করে দেখতে চাই তাহলে তাদেরকে মানুষ করার জন্য আমাদের সঠিক কনসালটেশন দিতে হবে।

আমরা আমাদের সন্তানদেরকে অনেক বেশী ভালবাসি। আমরা চাই কেউ ডা. হবে কেউবা ইঞ্জিনিয়ার হবে। যা আমি হতে চেয়েছিলাম আমি পারি নাই তা আমার সন্তানকে হতে হবে। আমার জীবনের ব্যর্থতার স্বপ্ন আমার জীবনের গ্লানি আমার সন্তানের ঘাড়ে দিতে চাই।

কিন্তু আমরা কি একবার ভেবে দেখি আমার সন্তান বড় হয়ে কি চায়। তারও তো ইচ্ছা থাকতে পারে। তবে তো তার ইচ্ছে বাস্তবায়ন করতে পারবে না। এই পৃথিবীতে একজনের ইচ্ছা অন্য জন বাস্তবায়ন করতে পারবেনা। একজন শিশুকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে হলে তাকে সুযোগ দিতে হবে। তাই এ সুযোগটি তৈরি করে দিতে পারে তার পরিবার আর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

কারন একটি শিশুর শিক্ষা বিস্তারে তার পরিবার হচ্ছে প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মা তার প্রথম শিক্ষক আর যখন সে বড় হবে সেসময়ে একটি বিদ্যালয় বিদ্যালয়ে পরিবেশ একজন শিক্ষক তার অভিভাবক হয়ে কাজ করবে। তাই একটি বিদ্যালয়কে লাইট হাউজ বলা হয়। আমাদের লক্ষ্য থাকতে হবে লক্ষ্য স্থির থাকবে হবে। লক্ষ্য স্থির যদি সঠিক না হয় তাহলে আমরা পিছলে পরে যাবো।

আগামী জানুয়ারীতে সারা বাংলাদেশের ৪০ লাখ শিশুর হাতে বই তুলে দেওয়া হবে। যদি আমরা ৪০ লাখ শিশুকে জিজ্ঞাসা করি তোমরা বড় হয়ে কি হবে তাহলে হয়তো ত্রিশ লাখ শিশুকে বলবে আমি বড় হয়ে ডা. হবো। কিন্তু সবাই হতে চায় কিন্তু তার কারো পূরণ হয় কারো বা হয়না। কিন্তু আশা তো থাকে। তবে যারা স্বপ্ন দেখি সবার আশা তো পূরন হয় না আর এজন্য কারা দায়ী। তবে আমার মতে আমরা শিক্ষকরাই এর জন্য বেশী দায়ী।

এ সময় তিনি ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষা পদ্ধতি ও শিক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন বিষয় অভিভাবকদের সামনে তুলে ধরেন। 

এই বিভাগের আরো খবর